রাজ্যসভায় ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে নোটিসের কড়া সমালোচনা মুখ্যমন্ত্রীর
মুর্শিদাবাদ, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.): “রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম, স্লোগান দেওয়া যাবে না”—নোটিসের বয়ান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এরকমই। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের সভামঞ্চ থেকে গর্জে উঠলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কয়েকদিন আগে দেখলাম
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


মুর্শিদাবাদ, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.): “রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম, স্লোগান দেওয়া যাবে না”—নোটিসের বয়ান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এরকমই। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের সভামঞ্চ থেকে গর্জে উঠলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কয়েকদিন আগে দেখলাম রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছে বন্দে মাতরম বলা যাবে না। বন্দে মাতরম বাংলার গর্ব। আমাদের জাতীয় স্তোত্র ও জাতীয় সঙ্গীত বাংলার মাটি উপহার দিয়েছে।”

মুর্শিদাবাদের সভা থেকে তিনি মনে করালেন বাংলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। বাংলার মাটিতে নবজাগরণ হয়েছে। বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, “বন্দে মাতরম গানটা অনেক বড়। যে অংশে দেশাত্মবোধ রয়েছে সেইটুকু আমার গাই। এটা জাতীয় স্তোত্র।” বিজেপির নাম না করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার রক্তের হোলি খেলছেন, তাদের বলি দেশ স্বাধীনের সময় রবীন্দ্রনাথ গেয়েছিলেন বাংলার মাটি, বাংলার জল। নজরুল গেয়েছিলেন ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান, এটাই বাংলা। এটাই বাংলার মাহাত্ম্য।” মমতার মুখে ক্ষুদিরামেরও কথা শোনা গিয়েছে।

আগেই দলনেত্রী দাবি করেছেন, ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেওয়া যাবে না। এই নির্দেশ শালীনতা (ডেকোরাম) বিরুদ্ধ! বুলেটিন জারি করে একথা জানিয়েছিল রাজ্যসভা। সরব হয়েছিল তৃণমূল।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande