
ক্যানিং, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : স্ত্রীর উপর অমানসিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। হাত, পা বেঁধে গলায় বেল্ট ঝুলিয়ে মারধর করে সারা শরীরে কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়েছে। পাশাপাশি মাথার চুল গোঁড়া থেকে সম্পূর্ণ কেটে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ক্যানিংয়ের কুমারসা মাঝেরপাড়া এলাকার ঘটনা। বুধবার রাতভোর স্ত্রী কারিমা মিস্ত্রিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল সর্দারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারিমা স্বামীর বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে বারুইপুর থানার বেলেগাছি এলাকার বাসিন্দা কারিমার সঙ্গে ক্যানিংয়ের মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা আজিজুলের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি বছর ছয়েকের সন্তানও রয়েছে। বর্তমানেও কারিমা অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংসারের সমস্ত কাজ সব সময় করতে পারেন না। অভিযোগ সেই কারণে আজিজুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মাঝেমধ্যেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে কারিমার উপর। সেই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দিন দুয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান কারিমা। বুধবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন আজিজুল। অভিযোগ বাড়িতে এনেই ঘরের দরজা বন্ধ করে কারিমার উপর অত্যচার শুরু হয়। গভীর রাতে কোনও ভাবে আজিজুলের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাপের বাড়ি ফোন করেন কারিমা। তাঁরাই এসে নিজেদের মেয়েকে উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কারিমা বলেন, “ বাড়ির কুকুরের সঙ্গেও এই ধরনের ব্যবহার কেউ করে না যেভাবে আমাকে মেরেছে স্বামী। গলায় বেল্ট পড়িয়ে হাত পা বেঁধে মেরেছে । আমার চুল কেটে নিয়েছে, যাতে আমি আর কোনও দিন ওই বাড়ি থেকে না বের হতে পারি সেই কারণে এই অত্যাচার। বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম বলে এভাবে মেরেছে আমাকে। আমি ওর শাস্তি চাই।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা