লালগড়ে জাল লটারি কাণ্ডে দোকানদার গ্রেফতার, পেশ আদালতে
ঝাড়গ্রাম, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.): জামবনি থানার চিঁচিড়ার পর এবার লালগড় থানা এলাকা থেকে জাল লটারি কান্ডে গ্রেফতার আরও এক ব্যক্তি। দীর্ঘ নজরদারির পর বুধবার সন্ধ্যায় লালগড় বাজারে ডিডিআই ও সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে শম্ভুরুই দাস নামে এক দোকানদারকে আটক করা হয়।
লালগড়ে জাল লটারি কাণ্ডে দোকানদার গ্রেফতার, পেশ আদালতে


ঝাড়গ্রাম, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.): জামবনি থানার চিঁচিড়ার পর এবার লালগড় থানা এলাকা থেকে জাল লটারি কান্ডে গ্রেফতার আরও এক ব্যক্তি। দীর্ঘ নজরদারির পর বুধবার সন্ধ্যায় লালগড় বাজারে ডিডিআই ও সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে শম্ভুরুই দাস নামে এক দোকানদারকে আটক করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় ।

তদন্তে জানা গেছে, লালগড়ের এস–আই চক এলাকায় গোপনভাবে চলছিল ভুটান লটারির জাল ব্যবসা। লটারির নম্বর ও ফলাফল পরিবর্তন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় করা হতো। ধৃতের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ লটারির টিকিট এবং লেনদেনের খাতা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লটারির আড়ালে অর্থ পাচার এবং বহুস্তরের কমিশন ভাগাভাগি চালাত একটি সংগঠিত চক্র। এর কার্যক্রম ঝাড়গ্রাম–পুরুলিয়া–পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিস্তৃত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় । আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নেপথ্যে কারা জড়িত এবং রাজ্যজুড়ে এই জাল লটারি র‌্যাকেট কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাই। তদন্তকারী সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “এটি শুধুই লটারি প্রতারণা নয়, বড়সড় অর্থচক্র। সূত্র ধরে আরও গ্রেফতার হতে পারে।” প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধ লটারি বন্ধে অভিযান আরও তীব্র করা হবে।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই জামবনি থানার চিঁচিড়া এলাকা থেকে একই ধরনের জাল লটারি কাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande