
আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমকে আর্থিকভাবে লাভজনক সংস্থায় পরিণত করতে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাদ ও গন্ধে ত্রিপুরার চা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চায়ের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। তাই চায়ের প্রাকৃতিক গুণাবলি বজায় রেখে আরও উন্নত মানের চা উৎপাদন, আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং দেশে চা-উৎপাদনহীন রাজ্যগুলিতে ত্রিপুরার চা বাজারজাত করলে নিগম আরও লাভবান হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগকে সফল করতে রাজ্যের চা শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, নিগমের চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ, মুখ্যসচিব জে. কে. সিনহা, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ডঃ পি. কে. চক্রবর্তী, অর্থ দফতরের সচিব অপূর্ব রায়, ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত কুমার দাসসহ অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
পর্যালোচনা সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব কিরণ গিত্যে জানান, ২০২৪ সালে রাজ্যে চা উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০ লক্ষ কেজি। বর্তমানে রাজ্যে নিগম পরিচালিত ৫টি, সমবায় পরিচালিত ১৩টি এবং বেসরকারি মালিকানাধীন ৩৬টি চা বাগান রয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষির সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন।
চা শ্রমিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০৪ টাকা করা হয়েছে। ব্রহ্মকুণ্ড চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের আপগ্রেডেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং মাছমারা এস্টেটে ক্ষুদ্র চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে চা নিলাম কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়া চলমান বলেও সভায় জানানো হয়।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ