বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.): বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাঙড়ের কালিকাপুর গ্রামের ঘটকপুকুর খাল থেকে এক বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, একাধিকবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জ
বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার


দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.): বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাঙড়ের কালিকাপুর গ্রামের ঘটকপুকুর খাল থেকে এক বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

অভিযোগ, একাধিকবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পরপুরুষের টানে ঘরও ছেড়েছেন। সেখানেও মন টেকে নি বধূর। ভাঙড়ের কালিকাপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। আর তারপরই তাঁকে খুন করা হয় বলেই অভিযোগ।

নিহতের নাম মৌমিতা নস্কর। বয়স বছর একুশ। ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় তাঁর বাপের বাড়ি। বছর চার আগে ভাঙড়ের কালিকাপুরের বাসিন্দা দেবাশিস নস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পর থেকেই ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়। একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে মৌমিতা জড়িয়ে পড়েন বলেই দাবি। পরপুরুষের টানে বাড়িও ছেড়েছিলেন। দিনকয়েক বেপাত্তা থাকার পর বাড়ি ফিরে আসতেন মৌমিতা। তারপর থেকেই দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌমিতা এবং দেবাশিসের ঝগড়াঝাটি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, দেবাশিস তার স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। মারতে মারতে ঘটকপুকুর খালপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাটে দেহ খালে ফেলে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ।

দেবাশিসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বধূর দেহের খোঁজ শুরু হয়। গভীর রাতে ঘটকপুকুর খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ধৃতর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বাবা। তিনি বলেন, “আমরা বিয়েতে জিনিসপত্র বিশেষ দিতে পারিনি। তা নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। ওকে অত্যাচার করা হয়েছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে চলে যায়। জামাই ফিরিয়েও আনে। তারপর আবার মেয়ে চলে যায়। আমি বলেছিলাম ওকে ছেড়ে দাও। কিন্তু ছাড়ল না। উলটে মেরে ফেলল।”

এই ঘটনায় আরও তথ্যের খোঁজে পুলিশ দেবাশিসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande