
দুর্গাপুর, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার নির্দেশনা থাকলেও দুই বছর ধরে সরকারি নির্ধারিত বেতন পাচ্ছেন না পূর্ব বর্ধমানের মানকর গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিকাকর্মীরা। মুল্যবৃদ্ধির বাজারে সঠিক বেতন না পাওয়ায় তারা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।
মানকর গ্রামীণ হাসপাতাল, গলসী-১ নং ব্লকে ২৫ শয্যার এই হাসপাতালে চারজন ঠিকাকর্মী রয়েছেন, যাদের নিয়োগ করা হয়েছে একটি ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে। অভিযোগ, দুই বছর আগে নতুন সংস্থা টেন্ডার পায়, কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা মেনে বেতন প্রদান করছে না।
হাসপাতালের ওই চার কর্মী অভিজিৎ মজুমদার, গৌতম মন্ডল, কল্পনা হাড়ি ও রানি হাড়ি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাসিক ৯,৬৫৩ টাকা বেতন প্রদানের নির্দেশ দেন। এরপরও এখনও প্রায় সাড়ে সাতশ টাকা বেতন কম পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিজিৎ মজুমদার জানান, “গত দুই বছর ধরে বেতন ঠিকমতো পাইনি। বহুবার আবেদন করেছি, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। বাজারে সবকিছু দাম বেড়ে গেছে, সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা শ্রম কমিশনারকেও লিখিতভাবে অভিযোগ জানাব।”
বিজেপির দুর্গাপুর-বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “রাজ্যের আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারি সংস্থা তা মানছে না। স্পষ্ট, তাদের সঙ্গে কোনও উচ্চপদস্থ নেতার সম্পর্ক আছে। আমরা এ ধরনের শ্রমিক শোষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মানকর হাসপাতালের সুপারইনচার্জ সপ্তর্ষি কোনার বলেন, “কর্মীদের সমস্যা নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী চিঠিও পাঠানো হয়েছে।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা