হুমায়ূনের ‘আর এস এস মার্কা মুখ্যমন্ত্রী’ মন্তব্যে কড়া প্রতিবাদ পীতারুণের
কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর (হি. স.) : ‘এমন আর এস এস মার্কা মুখ্যমন্ত্রী চাই না।’ দলে শাস্তিপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করলেন ‘বিশ্ব হিন্দু বার্তা’-র উপদেষ্টা ও প্রাক্তন সম্পাদক পীতারুণ মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি দলবিরোধী
হুমায়ুন কবীর


কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর (হি. স.) : ‘এমন আর এস এস মার্কা মুখ্যমন্ত্রী চাই না।’ দলে শাস্তিপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করলেন ‘বিশ্ব হিন্দু বার্তা’-র উপদেষ্টা ও প্রাক্তন সম্পাদক পীতারুণ মুখোপাধ্যায়।

সম্প্রতি দলবিরোধী ক্রিয়াকলাপের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন এরপরই তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। পীতারুণবাবু শুক্রবার এই প্রতিবেদককে জানান, “আর এস এস মুসলিমবিরোধী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা তার অনুসারী বলে যে হুমায়ূন সাব্যস্ত করতে চেয়েছেন, তা বাস্তবসম্মত নয়। এই আলিগড় মার্কা ব্রিটিশের তল্পীবাজি এখন মানুষ ধরে ফেলেছে। বরং সম্ভব হলে হিন্দু সংগঠনগুলির সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে তুলুন। তাতে উভয় সম্প্রদায়েরই লাভ।”

পীতারুণবাবু বলেন, “আর এস এস বা অন্য কোনও হিন্দু সংগঠন মাত্রই যে মুসলমানদের চরম শত্রু’, এই যে ধারণা এনারা পোষণ করছেন ও প্রচার করছেন তার যৌক্তিকতা কী? মুসলমানরা যখন এদেশে এসেছিল, তখন তারা সংখ্যায় বেশি ছিল না। হিন্দুরা চেষ্টা করলেই তাদের উৎখাত করতে পারতো। আজও হয়তো তারা তা পারে। কিন্তু তারা তা যে করে নি, কিংবা করে না, তার সুনির্দিষ্ট কারণ আছে।

মুসলমান মামেলুক তুর্কিরা ইউরোপ ও ভারতকে লুটেরা মঙ্গোলদের আক্রমণ ও গণহত্যা থেকে অন্তত ছ’শো বছর ধরে রক্ষা করেছে। এই বিষয়ে গিয়াসউদ্দিন বলবনের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। সেজন্য হিন্দু জনমানসে তাদের জন্য একটি স্থান অবশ্যই ছিল এবং আজও তা রয়েছে। আব্রাহামীয়দের সঙ্গে সনাতনীদের চিন্তন মননের একটি মূলগত ঐক্য আছে। ভারতের জাতিব্যবস্থায় মুসলমান ও খ্রিস্টানেরও একটি জায়গা করে দেওয়া রয়েছে।”

পীতারুণবাবু জানান, “ব্রিটিশরা হিন্দু জাতীয়তাবাদকে দমন করতে ঊনবিংশ শতকের অন্তিম পর্ব থেকেই মুসলমানদেরকে দলে টানতে সচেষ্ট হয়। আলিগড় মার্কা বুদ্ধিজীবীরা তারপর থেকেই ব্রিটিশের গোলামী করে চলেছে। আজও পাকিস্তান তাদের অনুগত ভৃত্য। উপমহাদেশের মুসলমান এই হিন্দুবিরোধী রাজনীতিতেই জারিত। তাই হিন্দুদেরকে ও হিন্দু সংস্কৃতিকে তারা ‘স্বাভাবিক শত্রু’ বলে বিবেচনা করে।

কিন্তু বাস্তবে একদিন হিন্দুরাই নিজেদের নিরাপত্তার তাগিদে ম্যামেলুক তুর্কিদের নিয়োগ ও তাদের বিবর্ধনা – ক্ষমতায়ন করেছিল। যুগ বদলেছে বলে তাদের এই অবদান ভুলে যাওয়া যায় না। হিন্দু সমাজ অনেক গভীর থেকে এই সত্য উপলব্ধি করে। অতএব হুমায়ূনরা যেমন ইচ্ছে রাজনীতি করুন, কিন্তু হিন্দু সমাজ ও হিন্দু সংগঠনের বিরোধিতা করবেন না, তাঁদের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হবেন না।

মনে রাখবেন, ইসলামের উৎপত্তি মানবজাতির কল্যাণের জন্য, তার অনিষ্ট করবার জন্য নয়। আর এস এসের সেবামূলক কাজগুলিতে এদেশের মুসলিমরাও নানাভাবে উপকৃত হয়। এই দেশের অহিন্দু সম্রদায়ের মানুষের প্রতি আর এস এস ও হিন্দু সমাজ দায়বদ্ধ।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande