রক্তাক্ত নানুর, তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ
বীরভূম, ৬ ডিসেম্বর (হি.স.): রক্তাক্ত নানুর। রাজ্যে ফের খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা! শুক্রবার রাতে ‘খুন’ হন বুথ সভাপতি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা
রক্তাক্ত নানুর, তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ


বীরভূম, ৬ ডিসেম্বর (হি.স.): রক্তাক্ত নানুর। রাজ্যে ফের খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা! শুক্রবার রাতে ‘খুন’ হন বুথ সভাপতি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার সকালেও এলাকা ছিল থমথমে। মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

মৃত তৃণমূল বুথ সভাপতির নাম রাসবিহারী সর্দার ওরফে দোদন (৫০)। তিনি নানুরের থুপসড়া অঞ্চলের তৃণমূল বুথ সভাপতি ছিলেন। শুক্রবার রাতে নানুর থুপসড়া অঞ্চলের পাতিছাড়া গ্রামে নাটমন্দিরে বসেছিল গ্রামবাসীদের আড্ডা। সেই আড্ডার মাঝেই হঠাৎই দুই পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী লোহার রড, শাবল নিয়ে নির্বিচারে হামলা চালাতে থাকে। রাসবিহারীবাবুকে মাটিতে ফেলে একের পর এক আঘাত করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁচাতে গেলে আরও পাঁচজন গুরুতর জখম হন। তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হামলা চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীর দল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নানুর থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

মৃতের ছেলে মানব সর্দার বলেন, “পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নাটমন্দিরের কাছে এসেছিলেন বাবা। সেই সময় কয়েকজন শাবল, লোহার রড দিয়ে কোপাতে থাকে। বাবা সেখানেই মারা যান। আমাদের আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। থানায় এফআইআর দায়ের করেছি। পুলিশ এসেছিল। আমি বাবার হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।” অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande