
মুর্শিদাবাদ, ৬ ডিসেম্বর (হি.স.): সংখ্যালঘু ভোটদাতাদের একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে৷ শনিবার বেলডাঙায় পৌঁছে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর৷ এদিন দুপুরেই বেলডাঙা ও রেজিনগর সংলগ্ন এলাকায় 'বাবরি মসজিদ' নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা৷
অনুষ্ঠান শুরুর আগে সভাস্থলে পৌঁছে হুঁশিয়ারির সুরে হুমায়ুন বলেন, বাংলায় ২ কোটি ৮২ লক্ষ ৫৩৩ মুসলিম ভোটদাতা আছেন৷ ৯০টি আসনে সংখ্যালঘু ভোটদাতারা নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে৷ প্রতিটি আসনেই আমাদের সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের জয়ী করতে হবে৷ রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে ৷
শিলান্যাস অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় এদিন সকাল থেকেই উপচে পড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের ঢল৷ মাথায় ইট নিয়ে তাঁরা হাজির হন বেলডাঙা ১ নম্বর ব্লকের ছেতিয়ানি মরাদিঘিতে৷ হুমায়ুন জানান, দুপুরে কোরান পাঠের মাধ্যমেই মসজিদের শিলান্যাস করা হয়৷ এর আগে এদিন সকাল থেকে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ভিড় জমাতে শুরু করেন হুমায়ুন অনুগামীরা৷
হুমায়ুন জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিক কাজকর্ম শুরু হয়ে যায়। রাজ্য থেকে তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলাম ধর্মগুরুরা এসেছেন, আসছেন তাঁর মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে। সমস্ত কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য শুক্রবার থেকে প্রায় ২০০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
আয়োজকদের দাবি, মঞ্চ, খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থলের অদূরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাই অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত