
আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : ৬ আগরতলা ব্লক কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আগরতলা শহরের নোয়াগাঁও এলাকা। অভিযোগ, সম্মেলনের জন্য নির্মাণাধীন মঞ্চ ভেঙে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সিআরপিএফ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা সিডাব্লিউসি সদস্য সুদীপ রায় বর্মন।
জানা গেছে, রবিবার ৬ আগরতলা ব্লক কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন ছিল। স্থানীয় স্কুলে অনুষ্ঠান করার অনুমতি না পাওয়ায় নোয়াগাঁও এলাকার এক খোলা জায়গায় বৈধ অনুমতি নিয়ে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ডেকোরেটর নিয়োগ করে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল।
অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ডেকোরেটর মালিকদের মঞ্চ না বানানোর জন্য হুমকি দেয়। তিনজন ডেকোরেটর মালিককে ভয়-ভীতি দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে নির্মীয়মাণ মঞ্চ ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। চেয়ার ও মাইক ভাড়াও না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে প্রতিনিধি সম্মেলন করতে বাধ্য হয় কংগ্রেস।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, যুব কংগ্রেস সভাপতি নীলকমল সাহা, মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সর্বাণী ঘোষ চক্রবর্তীসহ দলীয় নেতৃত্ব। ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ থেকে প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন জানান, “ডেকোরেটরদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, মাইক–চেয়ার ভাড়া না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সমগ্র বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলব। যেন এ ধরনের ঘটনা রাজ্যে প্রথায় পরিণত না হয়।” একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট তৈরি করে যুবসমাজকে ভুল পথে চালিত করছে সরকার।
উল্লেখ্য, এর আগে বনমালীপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়ের ঘরোয়া সভাতেও হামলা চালিয়ে সভা পণ্ড করার অভিযোগ ওঠে। ধারাবাহিক এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে নোয়াগাঁও এলাকায় সকাল থেকেই তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ