
চুড়াইবাড়ি (ত্রিপুরা), ৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : জাতীয় সড়কে ফের তীব্র যানজট। রবিবার সকাল থেকে উত্তর ত্রিপুরার চুড়াইবাড়ি চেকপোস্টে পুলিশি তল্লাশির ধীরগতির প্রতিবাদে ট্রাক চালকরা আবারও সড়ক অবরোধ শুরু করেন। এর জেরে কয়েকদিন ধরে আটকে থাকা যানবাহনের সারি আরও দীর্ঘ হয়।
গত তিন দিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বড় অবরোধ, যা ট্রাক চালকদের অসন্তোষ যে চরমে পৌঁছেছে, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। চালকদের অভিযোগ, চুড়াইবাড়িতে পুলিশি তল্লাশি এতটাই ধীর যে ছয় থেকে সাত দিন পর্যন্ত ট্রাক আটকে থাকে। এতে একদিকে যেমন পণ্য পরিবহনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির জন্য ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
চালকদের দাবি, দ্রুততার সঙ্গে গাড়ি চেকিং করার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসিয়ে তল্লাশি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হোক। দীর্ঘদিন রাস্তার ধারে আটকে থাকতে হওয়ায় স্নানের জল, শৌচালয়—এসব ন্যূনতম সুবিধার অভাবে চালকদের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।
পুলিশের দাবি, ত্রিপুরা থেকে বিভিন্ন রাজ্যে গাঁজা পাচার বেড়ে যাওয়ায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি অত্যন্ত জরুরি। তবে সমস্যা হল—গাড়ি দ্রুত ছেড়ে দিলে পাচারকারীরা সুযোগ নেয়, আর প্রতিটি ট্রাক ম্যানুয়ালি পরীক্ষা করলে যানজট আরও বাড়ে। ফলে মালবাহী ও যাত্রীবাহী—উভয় ধরনের যানই বিপাকে পড়ছে।
চোরাচালানের ঘটনায় সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপার সাতজন কর্মকর্তাকে বদলি করলেও পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। সীমিত জায়গার কারণে এক লাইনেই তল্লাশি চালাতে হওয়ায় ত্রিপুরা ও অসম সীমান্তজুড়ে যানজট অব্যাহত রয়েছে।
চালকদের অভিযোগ, আধুনিক চেকপোস্টের ভিতরে থাকা তিনটি অব্যবহৃত শেড তল্লাশির কাজে ব্যবহার করা হলে দ্রুত গাড়ি পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এতে যানজটও কমবে এবং তাদের দুর্ভোগও অনেকটাই লাঘব হবে বলে তারা মনে করছেন।
অবরোধ চলায় জাতীয় সড়কে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। দ্রুত সমাধান না হলে বৃহত্তর পরিবহন ব্যবস্থাই স্থবির হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ