
হুগলি, ৯ ডিসেম্বর, (হি.স.): কীভাবে পড়বে? প্রস্তুতি নেবে কিভাবে? এই আলোচনার সঙ্গে সাংবাদিকতা ও তার রূপান্তর— মঙ্গলবার এ নিয়ে বসেছিল চর্চাবাসর। ব্যবস্থাপনায় ছিল চন্দননগর কলেজের স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগ ও কলেজের অভ্যন্তরীণ গুণমান নির্ণায়ক কমিটি (আইকিউএসি)।
চন্দননগর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রসায়ন বিভাগ এ্যসোসিয়ট প্রফেসর ডঃ শোভন নিয়োগী ওই আলোচনায় পড়ুয়াদের আবেদন করেন, নিজেদের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য অন্তত দু’টি করে সংবাদপত্র পড়তে। তিনি আক্ষেপ করেন, এখনকার পড়ুয়াদের পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। স্কুলের শেষপর্ব থেকে ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা করার পরামর্শও দেন তিনি।
কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ডঃ ইন্দ্রাণী গোস্বামী বলেন, মনে আস্থা আনা এবং কিছু নির্দিষ্ট কর্মজগৎ সম্পর্কে পড়ুয়াদের সম্যক ধারণা দিতে আমরা পেশাগত চর্চার আয়োজন করছি। এদিনের শিবিরে মূল বক্তা হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি সর্বভারতীয় বহুভাষিক সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচারের কনসাল্টিং এডিটর অভিজ্ঞ সাংবাদিক অশোক সেনগুপ্তকে।
সর্বভারতীয় বহুভাষিক সংবাদ সংস্থার কনসাল্টিং এডিটর অশোকবাবু বলেন, “আজ কোনও বক্তৃতা নয়। ছাত্রছাত্রীদের আবশ্যিক কিছু পরামর্শ দেব।” নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছাড়াও যতটা সম্ভব বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে নিজেকে ঋদ্ধ করার উপযোগিতা লক্ষ্যভেদের জন্য আগাম যথেষ্ঠ প্রস্তুতির ওপর তিনি জোর দেন। প্রথম সাংবাদিক মহর্ষি নারদের পর সাংবাদিকতা কিভাবে ধাপে ধাপে বদলিয়েছে, তার সংক্ষিপ্ত উল্লেখ করেন তিনি।
পুরনো ঘরানার সাংবাদিকতার চরিত্র কিভাবে বদল হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করে অশোকবাবু বলেন, খবর এখন নজর কাড়ছে রিলসে। তা ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর হোক, কী পি সি সরকারের মেয়ের বিয়ে। তিনি এআই ক্ষেত্রের দ্রুত প্রসারের এবং সেই ক্ষেত্র সম্পর্কে যতটা সম্ভব বোঝার গুরুত্বের কথা বলেন। শিক্ষার্থী ও কিছু শিক্ষিকার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অশোকবাবু।
কলেজের সিনিয়র প্রফেসর ডঃ সঙ্গীতা ত্রিপাঠী সমাপ্তি ভাষণে বলেন, এদিন আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা যেভাবে নানা প্রশ্ন করলেন, এবং মূল বক্তা সেগুলোর যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেন, সেটা আমার ভালো লেগেছে। কাজের ক্ষেত্র যার যা-ই হোক, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা মুখ্য বিষয়। হতাশ হলে চলবে না। কাজের পরিবর্তিত ঘরানা মাথায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, চন্দননগর কলেজ পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাবর্ষ ১৮৬২তে। NAAC-এর সর্বশেষ বিচারে পেয়েছে A+ (৩.৪৬) গ্রেড। তাদের মতে, “This evaluation is the highest so far by any Government College in West Bengal since the evaluation begins”।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত