
কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর, (হি.স.): “রাজ্যের পুরো প্রশাসন তুষ্টিকরণের রাজনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে”। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, “হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস প্রশাসনের নীরব সাহায্যে হয়েছে এবং একই সঙ্গে ওবিসি কোটা বেআইনিভাবে পরিবর্তন করে ৭৫টি মুসলিম সম্প্রদায়কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু দফতরের বাজেট ১২ গুণ বাড়ানো হলেও এসসি এসটি সম্প্রদায় বঞ্চিত হয়েছে।”
সাম্প্রতিক দাঙ্গা ও হিন্দু নির্যাতনের তালিকা তুলে ধরে তিনি বলেন যে, ২০১১ থেকে ২০২৫, প্রতি বছরই পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা, হিংসা, মন্দির ভাঙচুর, মহিলাদের ওপর অত্যাচার ও অগ্নিসংযোগ বেড়েই চলেছে এবং মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার এই ঘটনাগুলিকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ, ভাঙ্গড়, মোথাবাড়ি, মোমিনপুর, ধুলাগড়সহ বহু জায়গায় হিন্দুদের উপর সংগঠিত আক্রমণ হয়েছে এবং দাঙ্গাকারীরা প্রশাসনিক সুরক্ষা পেয়েছে।
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান যে এসআইআর পশ্চিমবঙ্গকে দূষণ, অনুপ্রবেশ এবং ভুয়া ভোটারের হাত থেকে রক্ষা করার একমাত্র কার্যকর পথ এবং এর মাধ্যমে প্রকৃত ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাকে ধর্মশালা বানানো যাবে না। এখানে ১১ কোটি প্রকৃত নাগরিকের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা করাই প্রধান দায়িত্ব।
সিএএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্যাতিত হিন্দু, নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু পরিবার যারা ওপার থেকে এক কাপড়ে এসেছিলেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া বিজেপির প্রতিশ্রুতি এবং প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন মানুষ সিএএ সার্টিফিকেট পাচ্ছেন।
লকেট বলেন, তৃণমূলের ভয়ের একটাই কারণ, লক্ষ লক্ষ ভুয়া ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছেন। এসআইআর মানুষের সুরক্ষার জন্য এবং পশ্চিমবঙ্গকে পুনরায় রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, বিবেকানন্দের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ এবং এসআইআর নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত