দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ
কলকাতা, ১৮ মার্চ (হি স)। সম্প্রসারিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যকলাপ। শনিবার সংগঠনের তর
দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ


কলকাতা, ১৮ মার্চ (হি স)। সম্প্রসারিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যকলাপ। শনিবার সংগঠনের তরফে কলকাতায় সংগঠনের মূল দফতর কেশব ভবনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত। এই অংশে ২০২২-এর মার্চ মোট শাখাসংখ্যা ছিল ১,১৮৯। ’২৩-এর মার্চ মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১,২৭৫। ’২২-এর মার্চে শাখা (দৈনিক), মিলন (সাপ্তাহিক) ও মণ্ডলী (মাসিক) ছিল যথাক্রমে ৬৮৪, ৪৩৬ ও ৬৯। এক বছরে সংখ্যাগুলো বদলে হয়েছে যথাক্রমে ৬৮৮, ৫৬৪ ও ২৩।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া— পশ্চিমবঙ্গের এই অংশগুলো নিয়ে ২০২০-র মার্চ মাসে তৈরি হয়েছে সংগঠনের মধ্যবঙ্গ শাখা। এই অংশে ২০২২-এর মার্চ মোট শাখাসংখ্যা ছিল ৮৭০। ’২৩-এর মার্চ মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১,১৯৩। ’২২-এর মার্চে শাখা (দৈনিক), মিলন (সাপ্তাহিক) ও মণ্ডলী (মাসিক) ছিল যথাক্রমে ৪০৩, ৪১১ ও ৫৬। এক বছরে সংখ্যাগুলো বদলে হয়েছে যথাক্রমে ৪৮৩, ৬০০ ও ২১০।

মালদা, দিনাজপুর, দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও সিকিম নিয়ে সংগঠনের উত্তরবঙ্গ প্রান্ত। ২০২২-এর মার্চ মোট শাখাসংখ্যা ছিল ৮৬০। ’২৩-এর মার্চ মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১,০৩৪। ২০২২-এর মার্চে শাখা (দৈনিক), মিলন (সাপ্তাহিক) ও মণ্ডলী (মাসিক) ছিল যথাক্রমে ৪৬২, ৩৪৬ ও ৫২। এক বছরে সংখ্যাগুলো বদলে হয়েছে যথাক্রমে ৪৯৩, ২৯১ ও ২৫০।

শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে পানীপথে আয়োজিত অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার প্রতিবেদন জানান হয়। সেখানে ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য যে প্রস্তাব নেওয়া হয় সেই প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সারা দেশর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন দিশাতে সংঘের শাখা দৃঢ়িকরণ ও বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সঙ্ঘের প্রান্ত কার্যবাহ ডঃ জিষ্ণু বসু এবং ক্ষেত্র সঙ্ঘচালক অজয় কুমার নন্দী। সঞ্চালন করেন বিপ্লব রায়। পশ্চিম বঙ্গের ছাপ্পান্ন জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

হরিয়ানা প্রান্তে পট্টিকল্যাণা, সমালখায় (পানিপথ) গত ১২, ১৩, ১৪ মার্চ অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সম্পন্ন হয়। সেটির প্রতিবেদন পেশ করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। এতে জানানো হয়েছে, ওই সভা হয় পঁচিশ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা একটি বড় সেবা তথা গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের লক্ষ্য গ্রাম বিকাশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি সহায়তা, খেলাধুলার প্রশিক্ষণ ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের গবেষণা, উন্নত কৃষি গবেষণা এবং জৈবিক পদ্ধতিতে আধুনিক চাষের কেন্দ্র।

এই পরিসরে চারটি আলাদা আলাদা ভবনে সারাদেশ এর থেকে আগত অধিকারী, প্রতিনিধি কার্যকর্তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। চারটি বড় সভাগৃহের দু হাজার জনের মত একটি সভাগৃহে মূল বৈঠকের স্থান হয়। বাকি অন্যগুলোতে ছোট আকারের বৈঠকগুলো হয়। এছাড়াল একটি ভোজন মন্ডপ যেখানে দুই হাজার জন একসঙ্গে ভোজন করতে পারে।

দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত : কলকাতা ও হাওড়া মহানগরের বসতি একবছর আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে বসতির কার্যকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন, শাখা মিলন নিয়মিত চালনা, গণবেশ তৈরি, শারীরিক বর্গ ইত্যাদি কার্য বিস্তার যোজনার অন্তর্গত পরম পূজনীয় সরসঙ্ঘচালকের উপস্থিতিতে গত ২৩ জানুয়ারি কলকাতা শহীদ মিনার ময়দানে সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মজয়ন্তী পুণ্য অবসরে দুই মহানগরের ৮৬৬ বসতি থেকে ৪৯০০ জন স্বয়ংসেবক পূর্ণ গণবেশে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি কার্যক্রম “ নেতাজি লহ প্রণাম” অংশগ্রহণ করেছেন। উল্লেখ্য যে এই অনুষ্ঠানে নেতাজি পরিবারের সদস্য অর্ধেন্দু বসু উপস্থিত ছিলেন। এই পরিবারের অন্য এক সদস্য পূর্ণ গণবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া গ্রামীণ জেলাগুলোয় পথ সঞ্চলন (রুট মার্চ) “নেতাজি হল প্রণাম পালন করেন।

উত্তরবঙ্গ প্রান্ত : ৭০৪ মন্ডল এবং ২৩০ বসতির ১০৮৭ স্থানে গত ১২ জানুয়ারী, ২০২৩ ভারত মাতা পূজন অনুষ্ঠান হয়। ২৪৯৭৬ জন অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া ২৩ জানুয়ারী ২০২৩-এ প্রান্তের মোট ১০১ স্থানে মোট ২৫০৯ জন পূর্ণ গণবেশে এবং ২০৪০ জন স্বয়ংসেবক পথ সঞ্চলন করেন।

মধ্যবঙ্গ প্রাপ্ত : গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার “সুপ্ত শক্তি একত্রিকরণ” কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। যেখানে ৮১টি গ্রাম থেকে ২৬টি মন্ডলের ৭২২ জন কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। শাখা এবং মিলন বৃদ্ধি হয়েছে। সম্ভাবনা সমিতি এবং ভজন মন্ডলী শুরু হয়েছে।

বাঁকুড়া নগরের রামকৃষ্ণ ব্যবসায়ী শাখা স্বয়ংসেবকরা বসতি সমস্যা সমাধান হেতু একটি সফল প্রয়োগ করেছেন। ব্যাসন, ছোঁয়ুত, লাভ জিহাদ, অসামাজিক গতিবিধি ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করা হয়। পরিণাম স্বরূপ বসতিতে সামাজিক সৌহার্দ্য ও সামাজিক চেতনার বিকাশ হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande