গুয়াহাটি, ২০ নভেম্বর (হি.স.) : সাধারণ শ্রেণির যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ভারতীয় রেলওয়ে (আইআর) একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। উন্নত পরিষেবা এবং বর্ধিত যাত্রী চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলওয়ে তার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২৪-এর নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ৩৭০টি নিয়মিত ট্রেনে এক হাজারের বেশি নতুন জেনারেল সিটিং (জিএস) কোচ চালু করার পরিকল্পনা করেছে। এই উদ্যোগের ফলে আনুমানিক এক লক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী দৈনিক জিএস কোচে যাত্রা করতে সক্ষম হবেন, যা অন্তর্ভুক্তি ও সুবিধার ক্ষেত্রে রেলওয়ের গুরুত্বকে প্রদর্শন করে।
আজ বুধবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্রেস বার্তায় এ খবর জানিয়ে বলেন, ভারতীয় রেলওয়ের সাফল্যে অবদান রাখতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বদা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৩৬টি ট্রেন/৬৯টি রেকে ইতিমধ্যে ২৭৬টি জিএস কোচ যুক্ত করেছে, যা তার জোনের মধ্যে এবং বাইরে যাত্রীদের উন্নত স্বাচ্ছন্দ্য এবং উপলব্ধতা প্রদান করবে।
এছাড়া উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ২০২৪-এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিনটি অতিরিক্ত ট্রেনে আরও ১৬টি জিএস কোচ যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টা যাত্রী পরিষেবার উন্নতি এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির যাত্রীর জন্য ট্রেন যাত্রাকে আরও বেশি আরামদায়ক করে তুলতে ও অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একনিষ্ঠতাকে আলোকপাত করে।
প্রেস বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ট্রেন যাত্রার ক্ষেত্রে মানুষের বর্ধিত আগ্রহকে স্বীকৃতি জানিয়ে ট্রেনগুলিতে জিএস কোচ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ে তার ট্রেন কোচের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টার গতি তরান্বিত করে চলেছে। শুধুমাত্র জুলাই ও অক্টোবর মাসের মধ্যে আনুমানিক ৩৭০টি ট্রেনে ৬০০টি জিএস কোচ যুক্ত করা হয়েছে। নভেম্বর (২০২৪)-এর মধ্যে যার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার।
তাছাড়া আগামী দু বছরের মধ্যে ছয় হাজারের বেশি জিএস এবং অতিরিক্ত স্লিপার-ক্লাস সহ ১০ হাজারেরবেশি নন-এসি কোচ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই উচ্চাভিলাষী সম্প্রসারণের ফলে প্রায় আট লক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী দৈনিক ট্রেন যাত্রা করতে সক্ষম হবেন, সাধারণ শ্রেণির যাত্রীদের জন্য আসনের উপলব্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধিপাবে। নব-উৎপাদিত কোচগুলি আধুনিক লিংকে হফমেন বুশ (এলএইচবি) ডিজাইনের, যা উন্নত স্বাচ্ছন্দ্য, গতিবেগ এবং সুরক্ষা প্রদান করে। এলএইচবি কোচগুলি শুধুমাত্র হালকা ও মজবুত নয়, এই কোচগুলি দুর্ঘটনার সময় কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রচলিত আইসিএফ কোচের তুলনায় উন্নত যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ শ্রেণির যাত্রীদের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার প্রদানের প্রতিশ্রুতির প্রতি অটল । ফলে জোনের মধ্যে এবং দেশজুড়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উন্নত হয়েছে। ট্রেন যাত্রাকে প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষিত, অধিক সুবিধাজনক এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ পরিবহণ পদ্ধতিতে রূপান্তর করার যে দৃষ্টিভঙ্গি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই সুবিধাগুলির চলমান সম্প্রসারণের মাধ্যমে, দাবি করা হয়েছে প্রেস বার্তায়।
হিন্দুস্থান সমাচার / স্নিগ্ধা দাস