ক্যানিংয়ে জঙ্গি আতঙ্কে আটক দুই কাশ্মীরি যুবক
ক্যানিং, ২৬ ডিসেম্বর (হি. স.) : দিন পাঁচেক আগেই ক্যানিং এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম নেতা জাভেদ মুন্সি। সেই ঘটনার পর যথেষ্ট তৎপর এলাকার পুলিশ প্রশাসন। আর তাই ক্যানিং রেলমাঠ এলাকায় দুই কাশ্মীরি যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাঁদে
 ক্যানিংয়ে জঙ্গি আতঙ্কে আটক দুই কাশ্মীরি যুবক


ক্যানিং, ২৬ ডিসেম্বর (হি. স.) : দিন পাঁচেক আগেই ক্যানিং এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম নেতা জাভেদ মুন্সি। সেই ঘটনার পর যথেষ্ট তৎপর এলাকার পুলিশ প্রশাসন। আর তাই ক্যানিং রেলমাঠ এলাকায় দুই কাশ্মীরি যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাঁদেরকে আটক করল ক্যানিং থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয় হেলাল আহমেদ শাহ ও মুস্তাক আহমেদ শাহকে। এই দুজনের সাথে স্থানীয় এক কিশোর আবু কালামকেও আটক করেছে পুলিশ। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদেরকে ছাড়া হয়নি থানা থেকে।

বছর দশেক আগে হেলালের স্ত্রী সফুরা খাতুন ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকা থেকে কাশ্মীরে যান কাজের জন্য। সেখানে পরিচারিকার কাজ করতেন। শ্রীনগরের বাটগাঁওয়ের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর হেলালের সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে তাঁর। বিয়েও করেন দুজনে। বছরে দু একবার ক্যানিংয়ে আসেন তাঁরা। তবে শেষবার তাঁরা এসেছিলেন প্রায় বছর পাঁচেক আগে। সম্প্রতি সফুরার বাবা সাম্মাদ আলি নাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দেখতে দিন দশেক আগে স্ত্রী, দুই সন্তান ও সম্পর্কে নিজের এক জামাই মুস্তাককে নিয়ে ক্যানিংয়ে আসেন হেলাল।

কাশ্মীরে ফিরে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে তাঁরা এদিন সকালে ক্যানিং স্টেশানে আসেন। টিকিট কাউন্টার সহ আশপাশের এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্যানিং থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায় তাঁদের। হেলাল ও মুস্তাকের সাথে ছিল স্থানীয় এক যুবক। তাঁকেও আটক করে পুলিশ। সফুরা বলেন, “ আমরা সাধারণ মানুষ। কাশ্মীরে আমার স্বামী ও জামাই দুজনেই দিন মজুরির কাজ করেন। পুলিশ কেন ওঁদেরকে ধরে আনলো বুঝতে পারছি না। আমরা জঙ্গি নই।”

এদিকে তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে ক্যানিং থানা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত জেরায় তেমন কিছুই মেলে নি। তবে ধৃতদের পরিচয় পত্র ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে, সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল এলেই ছেড়ে দেওয়া হবে এঁদেরকে।

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande