উদ্দীপনার মধ্যে বাংলাদেশেও বর্ষবরণের নানা আয়োজন
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (হি.স.) : প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে বর্ষবরণের নানা আয়োজন করা হয়।
উদ্দীপনার মধ্যে বাংলাদেশেও বর্ষবরণের নানা আয়োজন


ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (হি.স.) : প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে বর্ষবরণের নানা আয়োজন করা হয়। রাজধানী ঢাকার রমনা বটমূলে গান, কবিতা ও নানা আয়োজনে নববর্ষকে বরণ করে ‘ছায়ানট’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। থাকছে শিল্পকলা অ্যাকাডেমি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা আয়োজন। ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের প্রতিপাদ্য ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’। এই অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকার রমনা পার্ক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানস্থলের সীমারেখা টানা হয়। ছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’-র বিশেষ আয়োজন। বর্ষবরণে সুরের ধারার ‘হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ’ উৎসব হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় সকাল ৯টা নাগাদ। তৈরি করা হয়েছিল- মুখোশ, পুতুল, চাকাসহ দেশি ঐতিহ্যের বিভিন্ন প্রতীক।

শিক্ষার্থীরা রং তুলি, কাগজ, বাঁশ, বেত, চাটাই নিয়ে কাজ করেন ভাগে ভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ।এর আগে শনিবার ‘চারুকলা’য় ছিল লোকগানের পরিবেশনা। এছাড়া সন্ধ্যায় ‘চারুকলা’-র বকুলতলায় ছিল চৈত্রসংক্রান্তির সাংস্কৃতিক আয়োজন। রাজধানী ঢাকার শাঁখারীবাজার ও তাঁতীবাজারের বাসিন্দারা পঞ্জিকা অনুসারে পালন করেন চৈত্রসংক্রান্তি। এছাড়াও শনিবার নানা আয়োজনে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি। গ্রামবাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বসে মেলা, গাজন। আয়োজন করা হয় বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার। এইভাবেই আনন্দ-উৎসব পালন করে চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানানো হয়। কিন্তু প্রিয় ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় উৎসবের দিনেও মুখভার বাঙালির।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande