পশ্চিমবঙ্গে ভোট শুরু শুক্রবার, উত্তরবঙ্গের ৩টি আসনে হতে চলেছে জোরদার টক্কর
কলকাতা, ১৮ এপ্রিল (হি.স.): লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার ভোটগ্রহণ পশ্চিমবঙ্গের ৩ট
৩টি আসনে হতে চলেছে জোরদার টক্কর


কলকাতা, ১৮ এপ্রিল (হি.স.): লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার ভোটগ্রহণ পশ্চিমবঙ্গের ৩টি সংসদীয় আসনে। প্রথম দফায় শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার (এসটি), জলপাইগুড়ি (এসসি) ও কোচবিহার (এসসি) এই তিনটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ৩টি আসনেই এবার জোরদার টক্কর হতে চলেছে।

আলিপুরদুয়ার (এসটি)

১৯৭৭ থেকে টানা ১০ বার এই কেন্দ্রে জিতেছিল বামফ্রন্টের শরিক আরএসপি। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে ২০১৪ সালে আরএসপি-কে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দশরথ তিরকে জয়ী হলেও ২০১৯-এ তাঁকে হারতে হয় বিজেপির মনোজ টিগ্গার কাছে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি কেন্দ্র তুফানগঞ্জ, কুমারগ্রাম, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট এবং নাগরাকাটা দখল করেছিল বিজেপি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার: ১৭,৭৩,২৫২।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় : মনোজ টিগ্গা (বিজেপি), প্রকাশ চিক বরাইক (তৃণমূল), মিলি ওরাওঁ (আরএসপি)।

জলপাইগুড়ি (এসসি)

১৯৭৭-এ বাংলায় বাম শাসন শুরুর পর থেকেই সিপিএমের দখলে ছিল জলপাইগুড়ি। ১৯৮০ থেকে টানা ৯ বার জেতার পরে ২০১৪-য় তৃণমূলের বিজয়চন্দ্র বর্মণের কাছে পরাস্ত হন বামপ্রার্থী। ২০১৯-এ আবার বিজয়চন্দ্রকে হারান বিজেপির জয়ন্তকুমার রায়। এই আসনে মোট ভোটার: ১৮,৮৫,৯৬৩।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় : জয়ন্তকুমার রায় (বিজেপি), নির্মলচন্দ্র রায় (তৃণমূল), দেবরাজ বর্মণ (সিপিএম)।

কোচবিহার (এসসি)

কোচবিহার একটা সময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল। স্বাধীনতার পরে টানা ছ’টি লোকসভা ভোটে জিতেছিল কংগ্রেস। আবার ১৯৭৭ থেকে টানা ১০ বার জিতে রেকর্ড গড়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। ২০১৯-এ জেতেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। এই লোকসভা আসনের সাতটির মধ্যে ছ’টি বিধানসভায় (মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলখুচি, দিনহাটা, নাটাবাড়ি) ২০২১-এ জেতেন পদ্মপ্রার্থীরা। তৃণমূল জিতেছিল শুধু সিতাইয়ে। পরে দিনহাটার উপনির্বাচনে তৃণমূল জেতে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা : ১৯,৬৬,৮৯৩।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় : নিশীথ প্রামাণিক (বিজেপি), জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (তৃণমূল), নীতীশচন্দ্র রায় (এআইএফবি), পিয়া রায়চৌধুরী (কংগ্রেস)।

হিন্দুস্থান সমাচার। রাকেশ।




 

 rajesh pande