'আসন প্রায় ফুরিয়ে এলো', দ্রুত টিকিট কাটার আরজি পূর্ব রেলের
কলকাতা, ১৯ এপ্রিল (হি.স.): “তাড়াতাড়ি টিকিট কাটুন, গ্রীষ্মের বিশেষ ট্রেনের আসন প্রায় ফুরিয়ে এলো!” এভা
'আসন প্রায় ফুরিয়ে এলো', দ্রুত টিকিট কাটার আরজি পূর্ব রেলের


কলকাতা, ১৯ এপ্রিল (হি.স.): “তাড়াতাড়ি টিকিট কাটুন, গ্রীষ্মের বিশেষ ট্রেনের আসন প্রায় ফুরিয়ে এলো!” এভাবেই যাত্রীদের কাছে আরজি জানিয়েছে পূর্ব রেল। এই সঙ্গে, ট্রেনগুলির সঠিক ও সুষ্ঠ পরিচালনায় কন্ট্রোল রুমের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

রেলের তরফে সামাজিক মাধ্যমে লেখা হয়েছে, “এখনও আপনি টিকিট কাটেন নি ? যদি এখনও না কেটে থাকেন, তাহলে তাড়াতাড়ি করুন। কারণ, পূর্ব রেলে গ্রীষ্মের বিশেষ ট্রেনগুলির চলাচল শুরু হয়ে গেছে। গরমের ছুটিতে হিমালয়ের শীতলতার আমেজ নিতে নিউ জলপাইগুড়ি বা উত্তর ভারতের উদ্দেশ্যে সপরিবার যাত্রায় বাঙালি এখন উন্মুখ। সময়সারনীতে ট্রেনগুলিতে ইতিমধ্যেই দীর্ঘ অপেক্ষাতালিকা। এই পরিস্থিতিতে রেল এগিয়ে এসেছে বিশেষ ট্রেনের ঝুলি নিয়ে।”

এ কথা জানিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন যে, “কিছু কিছু শাখায় ১০০% এর বেশি সংরক্ষন হচ্ছে , অর্থাৎ একটি বার্থ একাধিকবার সংরক্ষন করা হচ্ছে। এর থেকেই এই বিশেষ ট্রেনগুলির প্রতি যাত্রীদের বিপুল চাহিদাও অনুভব করা যাচ্ছে। সমস্ত ট্রেনেই পরিচ্ছন্নতা , জলসরবরাহ এবং অন্যান্য পরিষেবার উপর জোর দেওয়া হয়েছে যাতে যাত্রীদের ভ্রমণ স্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠে। স্টেশনে স্টেশনে ওয়াটার কুলার বা জলের ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। প্লাটফর্মের শেষের প্রান্তের দিকে জলের ট্যাঙ্ক বসানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে যাতে যাত্রীরা বিশেষত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণী ও স্লিপার ক্লাসের যাত্রীরা সহজেই পানীয় জল পেতে পারেন।

এছাড়াও আইআরসিটিসি জনতা মিল সরবরাহের জন্য বিভিন্ন স্টেশনে কিওস্ক তৈরি করেছে। যাতে যাত্রীদের সস্তায় ভালো মানের খাবার দেওয়া যায়।

আরপিএফ বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে যাতে ট্রেন চলার তাড়াহুড়োয় কেউ আঘাত না পান। এছাড়াও আরপিএফ ট্রেনে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে জনসচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে যাতে তারা বন্ধুবেশী মাদক প্রয়োগকারীদের খপ্পরে না পরেন ও অন্যান্য অসাধু ব্যক্তি বা টিকিট দালালদের থেকে দূরে থাকেন।

এছাড়াও রেলওয়ে আধিকারিকরা কন্ট্রোল রুমে বসে ২৪ X ৭ ভিত্তিতে দিনভর গ্রীষ্মের বিশেষ ট্রেনগুলির পরিচালনার নিয়মানুবর্তিতা সুনিশ্চিত করছেন এবং বিভিন্ন স্টেশনের পরিস্থিতিতে উপর নজর রাখছেন।

তবে এই গ্রীষ্মকালীন বিশেষ ট্রেনগুলির জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। অনেক ট্রেনেই প্রায় আসন সংখ্যা পূর্ণ। যেমন হাওড়া - রক্সৌল স্পেশাল ও কলকাতা - জয়নগর স্পেশালে ১৩ ই এপ্রিল থেকে ২০ শে এপ্রিল অবধি যাত্রার প্রায় সবকটি দিনেই ১০০% এর বেশি অকুপেন্সি আছে।

তাই আর দেরী নয়। যারা এখনও গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণযাত্রার পরিকল্পনা পাকা করেননি কিন্তু যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে, তারা যত দ্রুত সম্ভব তাদের যাত্রীসূচী তৈরী করে ফেলুন। কারণ দেরি হলে রোজ চলার ট্রেনগুলি তো দূরের কথা, গ্রীষ্মকালীন বিশেষ ট্রেনগুলিতে আসন সংখ্যা পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিশ্চিত ও নিরাপদ যাত্রা ভ্রমণ করতে যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট বা রেলের কাউন্টার থেকে টিকিট কাটুন। টিকিট দালালদের শিকার হবেন না। টিকিট দালালচক্রের শিকার হলে ভূয়ো টিকিটের জন্য আপনার যাত্রা পন্ড হতে পারে , তাছাড়া জেল - জরিমানা হবারও সম্ভাবনা আছে।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande