আগরতলা, ১৯ এপ্রিল (হি.স.) : রাজনীতিতে অসম্ভব কিছু নেই। যুগ যুগ ধরে পরস্পর বিরোধী দুটি দল একজোট হয়েছে। বামেরা যারা কংগ্রেসের মুণ্ডুপাত না করে থাকতে পারতেন না, সেই বামেরাই কংগ্রেসের সাথে মিলে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনের লড়াইয়ে শামিল হয়েছে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডি জোটের অন্যতম দুই শরিক বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।
পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী আশিসকুমার সাহা। শুক্রবার ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সহধর্মিনী পাঞ্চালী ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যান শিশুবিহার স্কুলে। বলা যেতে পারে, প্রথমবারের মতো বামফ্রন্টের এই প্রবীণ নেতা কংগ্রসকে ভোট দিয়ে দলের হুইপ মেনেছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভোট দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, যদি স্বাধীনভাবে ভোট হয়, তাহলে একটি ম্যাজিক রেজাল্ট বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু অবাক করার বিষয়, ভোটের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে শাসক দলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবারের প্যাকেট বিলি করে বলছে ভোটের দিন যাতে বিরোধী দলের কর্মীরা বাড়ি থেকে না বের হন। ভোটের দিনও নাকি তাদের খাবার বিলি করা হবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পোলিং এজেন্ট দিতে পারবে সেটা ভাবা চিন্তার বাইরে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হল, বিগত দিনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনের দিন ভোট লুণ্ঠন হয়েছে। তাই এই নির্বাচনে মানুষ যদি সাহস নিয়ে ভোট দিতে এগিয়ে না আসেন, তাহলে সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না। একদলীয় ও স্বৈরশাসন ফ্যাসিস্ট সুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে। যার পরীক্ষাগার হল ত্রিপুরা। তাই এই লড়াই বিজেপি এবং জনগণের মধ্যে বলে দাবি করেন মানিক সরকার।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ / সমীপ