(রাউন্ড আপ) ছত্তিশগড় থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মোদীর
রায়পুর, ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার ছত্তিশগড়ের সুরগুজায় আয
(রাউন্ড আপ) ছত্তিশগড় থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মোদীর


রায়পুর, ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার ছত্তিশগড়ের সুরগুজায় আয়োজিত বিশাল বিজয় সংকল্প শঙ্খনাদ মহার‍্যালিতে বক্তব্য রেখেছেন এবং রাজ্যের জনগণকে ছত্তিশগড়ের প্রতিটি আসনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে পদ্ম ফোটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিষ্ণু দেও সাই, ছত্তিশগড়ের মন্ত্রী শ্রী রামবিচার নেতাম, শ্রী শ্যামবিহারী জয়সওয়াল, শ্রীমতি লক্ষ্মী রাজওয়াড়ি এবং সুরগুজা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শ্রী চিন্তামণি মহারাজ এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

ছত্তিশগড় থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন বিজেপি তাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পরে অম্বিকাপুরেও লাল কেল্লা নির্মিত হয়েছিল। কংগ্রেস প্রতিদিন মোদীকে আক্রমণ করার অজুহাত খুঁজছে। সেই সময়েও কংগ্রেস বলেছিল, কীভাবে এই লাল কেল্লা তৈরি করা যায়, এখনও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন বাকি রয়েছে এবং বিজেপি কীভাবে লাল কেল্লার দৃশ্য তৈরি করে সভা করতে পারে। জনতার আশীর্বাদে মোদী লাল কেল্লায় পৌঁছে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন। এখন অম্বিকাপুর সেভাবেই আশীর্বাদ দিচ্ছে। কয়েক মাস আগে ছত্তিশগড়ের মানুষ রাজ্য থেকে কংগ্রেসের দুর্নীতির থাবা সাফ করে দিয়েছেন। জনসাধারণের আশীর্বাদে, আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে আসা শ্রী বিষ্ণুদেও সাই এখন রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শ্রী বিষ্ণুদেও সাই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং রকেট গতিতে সরকার চালাচ্ছেন। ধান চাষিদের দেওয়া গ্যারান্টি পূরণ হয়েছে, তেঁতুল সংগ্রহকারীরাও বেশি টাকা পাচ্ছেন এবং তেঁতুল সংগ্রহও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। রাজ্যের মা-বোনেরা মাহতারি বন্দন যোজনার আওতায় সুবিধা পাচ্ছেন। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের প্রতারকদের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা দেখছে গোটা দেশ। এখন আমি বিকশিত ভারত ও বিকশিত ছত্তিশগড়ের জন্য ছত্তিশগড়ের মানুষের কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছি।

কংগ্রেসকে বিকশিত ভারতের বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে শ্রী মোদী বলেছেন, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলগুলি বিকশিত ভারতের নামে ঘাবড়ে যায়। কংগ্রেস এবং অন্যান্য সহযোগী দলগুলি বুঝতে শুরু করেছে যে ভারত শক্তিশালী হলে কিছু শক্তির খেলা নষ্ট হয়ে যাবে। ভারত স্বনির্ভর হওয়ার সাথে সাথে কিছু শক্তির দোকান বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তারা ভারতে কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের একটি দুর্বল সরকার গঠন করতে চায়। কংগ্রেস মানুষকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করিয়ে কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি করেছে। ক্ষমতার লোভে দেশকে ধ্বংস করার ইতিহাস রয়েছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের শাসনকালে দেশে ক্রমাগতভাবে সন্ত্রাস, নকশালবাদ ও অপশাসনের বিকাশ ঘটছিল, যার ফলে দেশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। এখন বিজেপি সরকার সন্ত্রাস ও নকশালবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু কংগ্রেস যারা হিংসা ছড়ায় তাদের সমর্থন করছে। যারা নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করে তাদের শহিদ উপাধি দিয়ে কংগ্রেস দেশের বীর সেনাদের অপমান করে। সন্ত্রাসীরা মারা গেলে কংগ্রেস নেতারা চোখের জল ফেলে এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে কংগ্রেস দেশের মানুষের আস্থা হারিয়েছে। কংগ্রেসের মুসলিম লীগের চিন্তাধারাকে দেশের সামনে তুলে ধরতে চায় বিজেপি সরকার। কংগ্রেসের ইস্তেহারে মুসলিম লীগের ছাপ স্পষ্ট দেখা যায়।

দলিত ও আদিবাসী বিরোধী কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান তৈরির সময় বাবা সাহেবের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ থাকবে না, সংরক্ষণ থাকবে শুধু দলিত ও উপজাতি সম্প্রদায় থেকে আসা মানুষের জন্য। কিন্তু ভোটব্যাঙ্কের ক্ষুধার কারণে কংগ্রেস কখনোই মহাপুরুষদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেনি এবং সংবিধানের পবিত্রতাকে গুরুত্ব দেয়নি। কংগ্রেস কয়েক বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কংগ্রেস সারা দেশে সংরক্ষণ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছিল এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ কমিয়ে এবং ধর্মীয় ভিত্তিতে ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছিল। কংগ্রেস তাঁদের ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের ইস্তেহারেও ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছিল। বহু বছর আগে, কর্ণাটকে কংগ্রেসও ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ প্রয়োগ করেছিল, কিন্তু রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর, কংগ্রেসের এই সংবিধানবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় এবং দলিত, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণীগুলিকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেস ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে হত্যা করেছে এবং কংগ্রেস সারা দেশে একই মডেল বাস্তবায়ন করতে চায়। কংগ্রেস সংবিধান পরিবর্তন করে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের অধিকার নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে দিতে চায়।

মাননীয় মোদী বলেন যে, কংগ্রেসের উদ্দেশ্য ভারতের সংবিধান, সামাজিক ন্যায়বিচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শুধুমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারই পারে দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী ও আদিবাসীদের সংরক্ষণ বজায় রাখতে। কংগ্রেসের নজর শুধু সংরক্ষণের দিকেই নয়, আমজনতার উপার্জন, সম্পত্তির দিকেও। কংগ্রেসের যুবরাজ দেশের প্রতিটি পরিবারের সম্পত্তি ও গয়নার হিসেব নিয়ে অন্যদের বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। দেশের মানুষ কংগ্রেসের এই পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না। কংগ্রেসের বিভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্য একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেসের যুবরাজের উপদেষ্টা বলেছিলেন যে, দেশের মধ্যবিত্তের উপর আরও বেশি কর চাপানো উচিত। এবার কংগ্রেস আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছে যে, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতেও কর আরোপ করা হবে। কংগ্রেসের বক্তব্য, জনগণের কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা অর্জিত সম্পদ আর তাদের সন্তানদের দেওয়া যাবে না, কংগ্রেস তা জনগণের কাছ থেকে নিয়ে অন্যদের দিয়ে দেবে। কংগ্রেসের নীতিই হল লুট করা, তা যেমন মানুষের জীবিতাবস্থাতেও, এমনকি মরণোত্তর কালেও।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে আর্বান নকশাল মানসিকতার এবং ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী বলে নিশানা করেন। তিনি বলেন ভারত মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিগতভাবে ভোগবাদী দেশ নয়। বরং আমরা সঞ্চয় ও সংরক্ষণে বিশ্বাস করি। আমাদের ভারতে, বাড়ির বয়স্ক লোকেরা তাদের গহনা নিরাপদে সঞ্চয় করে রাখেন এবং তাদের নাতি-নাতনিদের দেওয়ার কথা ভাবেন। ভারতের মানুষ ঋণ নিয়ে বাঁচে না, বরং কঠোর পরিশ্রম করে, প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করে এবং সঞ্চয়ে বিশ্বাস করে। কংগ্রেস ভারতের মৌলিক চিন্তাভাবনায় আঘাত করে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্যাক্ট-চেকারদের কংগ্রেসের ইতিহাস খুঁজে দেখার করার পরামর্শ দেন এবং বলেন যে, তারা যদি কংগ্রেসের ফ্যাক্ট-চেক করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কংগ্রেসের সবকিছুই ভারত বিরোধী মানসিকতা। আমি যখন বলেছিলাম যে, আরবান নকশালরা কংগ্রেসের ওপর প্রভাব ফেলছে, তখন কংগ্রেস ভাবলো যে যেহেতু মোদী এত বড় অভিযোগ করেছেন, তাই আমেরিকাকে খুশি করার জন্য কিছু বলা উচিত।

মাননীয় মোদী বলেন যে, কংগ্রেস তার শাসনকালে জনসাধারণের অর্থ লুট করেছে কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে, জনগণের অর্থ জনগণের জন্য ব্যয় করেছে। এই অর্থ দিয়ে ছত্তিশগড়ের ১৩ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছে, লক্ষাধিক পরিবার বিনামূল্যে রেশন এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে। তৃতীয়বারের মতো বিজেপি সরকার গঠনের পর ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রতি বয়স্ক মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত-এর আওতায় আনা হবে। সরগুজার প্রায় ১ লাখ কৃষকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো, বিজেপি সরকার পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় অনগ্রসর জনজাতিদের গ্রামে স্থায়ী বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল সংযোগ এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা দেওয়া হবে। গত ১০ বছরে ছত্তিশগড়ে রেল, রাস্তা, হাসপাতাল এবং বিমানবন্দরের মতো অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। গত ১০ বছরে বিজেপি সরকার যা করেছে তা কেবল একটি ট্রেলার মাত্র, আগামী পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার আরও অনেক কিছু করতে চলেছে। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর জন্য জনগণের আশীর্বাদ প্রয়োজন। শুধু একজন সাংসদ নির্বাচন নয়, দেশ ও আগামী প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-এর জন্য উপযুক্ত সরকার বেছে নিতে হবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ / সৌম্যজিত / সোনালি




 

 rajesh pande