অসমে শেষ হলো দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের সরব প্রচার, পাঁচ আসনে ভোটের ময়দানে ৬১ জন
গুয়াহাটি, ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে শেষ হলো দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের সরব প্রচার। দ্বিতীয় দফাৰ ভ
Assam Lok Sabha elections 2024_Represantational image


গুয়াহাটি, ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে শেষ হলো দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের সরব প্রচার। দ্বিতীয় দফাৰ ভোটে ময়দানে বিভিন্ন দলের ৬১ জন প্রার্থী প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ২৬ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় অসমের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ হবে।

যে সব আসনে ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা যথাক্রমে বরাক উপত্যকার দুটি কেন্দ্র শিলচর (তফশিলি জাতি সংৰক্ষিত) এবং করিমগঞ্জ (সাধারণ), পার্বত্য জেলায় একটি ডিফু (তফশিলি জনজাতি সংৰক্ষিত) এবং দুটি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় নগাঁও এবং দরং-ওদালগুড়ি।

জাতীয় নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দ্বিতীয় পর্বে শিলচরে (এসসি) বিজেপি প্রার্থী তথা অসমের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যে জন্য রোড শো করে প্রচার করেছিলেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দ্বিতীয় দফার ভোট-প্রচার করেছেন শিলচরে। শিলচরে তৃণমূল প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাস।

শিলচরে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজেপির পরিমল শুক্লবৈদ্য, কংগ্রেসের সূর্যকান্ত সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাধেশ্যাম বিশ্বাসের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।

করিমগঞ্জ আসনে সর্বাধিক ২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে ১৯ জন নিৰ্দলীয় এবং ডিফু (এসটি)-তে মাত্র পাঁচজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। করিমগঞ্জে বর্তমান বিজেপি সাংসদ কৃপানাথ মালা, কংগ্রেসের হাফিজ রশিদ চৌধুরী এবং এআইইউডিএফ-এর সাহিবুল আলম চৌধুরীর মধ্যে ত্রিকোণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিফু (এসটি) আসনে পাঁচজন প্রাৰ্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বিজেপির অমরসিং তিসো এবং কংগ্রেসের জয়রাম ইংলেংয়ের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

নগাঁওতে মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেসের বর্তমান সাংসদ প্রদ্যুৎ বরদলৈ, বিজেপির সুরেশ বরা এবং এআইইউডিএফ-এর আমিনুল ইসলামের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিকোণ লড়াইয়ের ধারণা তীব্র হতে চলেছে।

দরং-ওদালগুড়িতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে বিজেপির বর্তমান সাংসদ দিলীপ শইকিয়া এবং কংগ্রেস প্রার্থী মাধব রাজবংশীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের স্টার ক্যাম্পেনার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয়টটি সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রথম দফার ভোটে ডিব্রুগড় আসনে বিজেপি প্ৰাৰ্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল শিলচর ও করিমগঞ্জে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার করেছেন।

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি তাদের প্রচারে বেশিরভাগ রাজ্য নেতাদের উপর নির্ভর ছিল।

লোকসভায় বিরোধী দলের উপনেতা কংগ্ৰেসের গৌরব গগৈ, রাইজর দলের সভাপতি বিধায়ক অখিল গগৈ এবং অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ বরাক উপত্যকায় কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন।

বিজেপির প্রচারাভিযান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে যথাক্রমে দশ বছরের এবং আট বছরের শাসনামলে গেরুয়া দলের উন্নয়নমূলক খতিয়ান তুলে ধরার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল।

বিরোধী দলগুলি নাগরিকত্ব ইস্যু, সন্দেহজনক (ডি) ভোটার, যোগাযোগ সমস্যা, দুর্বল পরিকাঠামো, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, প্রকল্পের সুবিধা না পৌঁছনো এবং শিল্প বিকাশের অভাব ইত্যাদির উপর জোর দিয়ে প্রচারাভিযান চালিয়েছিল।

১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় কাজিরঙা, যোরহাট, ডিব্রুগড়, শোণিতপুর এবং লখিমপুর আসনে ৩৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ৭৮.২৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

১৯-এর নির্বাচনে (বিদায়ী লোকসভায়) অসমে ১৪ আসনের মধ্যে বিজেপি নয়টি, কংগ্রেস তিনটি, একটি করে এআইইউডিএফ এবং নির্দলীয় প্ৰাৰ্থী বিজয়ী হয়েছিলেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ / অরবিন্দ




 

 rajesh pande