নতুন করে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা চাইলেন রামদেব
নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল (হি. স.): মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসমক্ষে ক্
ramdev


নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল (হি. স.): মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু রামদেব। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় সম্প্রতি প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তাঁর সংস্থাকে। বারবার সুপ্রিম কোর্ট ভর্ৎসনা করেছে তাঁদের। তাই এবার নতুন করে পতঞ্জলির তরফে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণকে।

উল্লেখ্য, ঠিক একদিন আগে, মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট, বিজ্ঞাপন মামলার শুনানি করার সময়, পতঞ্জলিকে জিজ্ঞাসা করেছিল বড় করে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে? এরপরই ফের বুধবার সংবাদপত্রে বড় আকারের বিজ্ঞাপন জারি করে পতঞ্জলি। সেখানে সংস্থার তরফে লেখা হয় ‘আমরা আমাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশে ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং আমাদের আন্তরিক অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি যে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে মাননীয় আদালতের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আদালতের মহিমা বজায় রাখার এবং মাননীয় আদালত/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রযোজ্য আইন এবং নির্দেশাবলী মেনে চলার অঙ্গীকার করছি’।

২০২০ সালের ২৩ জুন প্রথম বার করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল। তার পর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়। এই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আইএমএ। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র।

হিন্দুস্থান সমাচার/ সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande