বিগত অর্থবর্ষে সর্বাধিক বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির কৃতিত্ব অর্জন এনএফ রেলের
গুয়াহাটি, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : ভারতীয় রেলওয়ের ‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অনুযায়ী উত্তরপূর্ব সীমান্ত (এনএফ)
NFR-s achievement in selling waste products


গুয়াহাটি, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : ভারতীয় রেলওয়ের ‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অনুযায়ী উত্তরপূর্ব সীমান্ত (এনএফ) রেলওয়ে নিজের সবকয়টি ডিভিশনে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই মিশন সফল করতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ডিভিশন, ওয়ার্কশপ ও শেডগুলিকে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, বিগত অর্থবর্ষ তথা ২০২৩-২৪ সালে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি থেকে ২০২.৮৪ কোটি টাকা আয় করেছিল। এই বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ১৮৯.৯২ কোটি টাকার বর্জ্য বিক্রির তুলনায় এই বৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ।

‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’-এর অধীনে এই অভিযান চলাকালীন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিগত অর্থবর্ষে ২৩,৫৫৩ এমটি স্ক্র্যাপ রেল/পি-ওয়ে উপকরণ এবং ১৯,১৯২ এমটি বিভিন্ন বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করেছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৬টি ডিজেল লোকোমোটিভ, ২৪৭টি কোচ এবং ২৮৪টি ওয়াগনও বিক্রি করেছে।

‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অভিযানের ফলে শুধুমাত্র যে ভারতীয় রেলওয়ের রাজস্বই উৎপন্ন হয়েছে তা নয়, পাশাপাশি অন্যান্য বর্জ্য সামগ্রী এবং উপাদান জমা করার স্থানও তৈরি করেছে। স্টেশন, ডিপো, শেড, ওয়ার্কশপ ও সেকশনগুলি যাতে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখা যায় তার জন্য এই মিশনের অধীনে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পর্যবেক্ষণের ফলে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার পাশাপাশি স্টেশন, কর্মক্ষেত্র ও চারপাশের এলাকার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও রেলওয়ে চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ অনকূল করে রাখার ক্ষেত্রে এই মিশন সহায়ক হয়ে উঠেছে, জানান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

হিন্দুস্থান সমাচার / স্নিগ্ধা / সমীপ




 

 rajesh pande