পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাম ছাত্র মিছিলকারীদের
কলকাতা, ২৭ এপ্রিল (হি.স.) : শনিবার বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড বে
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাম ছাত্র মিছিলকারীদের


কলকাতা, ২৭ এপ্রিল (হি.স.) : শনিবার বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায় সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে। তাঁদের বিক্ষোভ পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। শুরু হয় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। তার পর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, তাঁদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি খোয়ালেন। সেই দাবিতে পথে নামেন সদ্য চাকরিহারারা।

বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বে শনিবার এই অভিযানে শামিল হন চাকরিহারাদের একাংশ। বাম যুব সংগঠনের তরফে বলা হয়েছিল তারা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একটি স্মারকলিপি দেবে। সেই মোতাবেক মিছিল করে চাকরিহারারা এসএসসি ভবনের সামনে পৌঁছলেই পুলিশ আটকে দেয়। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-সহ বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্ব ছিলেন শনিবারের মিছিলে।

বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-র একাধিক রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দ্রুত তাঁদের না ছাড়লে আন্দোলনের দাপট আরও বাড়বে বলে সুর চড়াতে দেখা যায় মীনাক্ষীদের। এদিকে বিধাননগর পুলিশের আধিকারিকরা সাফ জানান করুণীময়ী থেকে আর এগোনা যাবে না। কিন্তু, এসএসসি ভবন যেতে অনড় বাম কর্মীরা। তাতেই আরও তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ভেঙে ফেলা হয় একের পর এক ব্যারিকেড।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মীনাক্ষী বলেন, “গোটা রাজ্যের সরকার অপরাধীদের বাঁচানো ছাড়া কোন কাজ করেছে? যাঁরা অযোগ্য, যাঁরা ঘুষ নিয়েছিল তাঁদের ধরতে পারে না। সেলাম ঠুকছে। যাঁরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছিল তাঁদের নিয়ে গিয়েছে। ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে প্ররোচনা দিয়েছে। আগে ওদের ছাড়বে। তারপর আমরা আমাদের স্মারকলিপি এসএসসি-র অফিসে দেব।”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande