ত্রিপুরায় ধৃত বেঙ্গালুরু থেকে আগত সন্দেহভাজন ১১ জন রোহিঙ্গা
গন্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ৪ মে (হি.স.) : ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা পুলিশের এসবি এবং ডিআইবি কর্মীদের প্রচ
ত্রিপুরায় ধৃত বেঙ্গালুরু থেকে আগত সন্দেহভাজন ১১ জন রোহিঙ্গা


গন্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ৪ মে (হি.স.) : ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা পুলিশের এসবি এবং ডিআইবি কর্মীদের প্রচেষ্টায় উপজাতি জনপদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জন সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকে। যদিও ধৃতরা জানান তারা রোহিঙ্গা নন, বাংলাদেশি। গন্ডাছড়ায় ১১ জন রোহিঙ্গা আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গন্ডাছড়া মহকুমা পুলিশের এসবি এবং ডিআইবি কর্মীদের কাছে খবর ছিল, শুক্রবার রাতে যে কোনও সময় গন্ডাছড়ায় বেশ বড়সড় একটি রোহিঙ্গা দল ঢুকতে পারে। ওই গোপন তথ্য পেয়েই নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দা কর্মীরা। বহু চেষ্টার পর শনিবার সকাল নয়টা নাগাদ গন্ডাছড়া থানাধীন মাছকুম্ভির এলাকার বাসিন্দা জনৈক অনিতা রিয়াঙের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে ১১ জনকে আটক করেন এসবি এবং ডিআইবি কর্মীরা। তার পর ধৃত সন্দেহভাজন ১১ জন রোহিঙ্গাকে গন্ডাছড়া মহকুমা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায়, তারা রোহিঙ্গা নয়, সকলেই বাংলাদেশি। তাদের বসতবাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে। ধৃতরা জানায়, তিন বছর আগে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা হয়ে ট্ৰেনে করে কাজের সন্ধানে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল। সেখানে তারা টুকাই-এর কাজ করত। বিশেষ করে বোতল টুকাই-এর কাজ করত বলে জানায় ধৃতরা।

ধৃতরা আরও জানায়, শুক্রবার রাত ১১টায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তারা আমবাসায় আসে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল দালাল। দুটি অটো করে দালালরা ১১ জনকে নিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমার মাছকুম্ভির গ্রামে পৌঁছে রাত দুটায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আরও ১৪ জন আসে।

শুক্রবার রাতে মাছকুম্ভিরের বাসিন্দা অনিতা রিয়াং-এর পরিত্যক্ত বাড়িতে রাত কাটানোর পর শনিবার ভোর নাগাদ টিআর ০৩ আর ০৫৩৩ নম্বরের ওয়াগন–আর এবং টিআর ০৩ কিউ ০৪৮৭ নম্বরের দুটি গাড়িতে করে ১৪ জন আমবাসার উদ্দেশ্যে চলে যায়। ওই খবর সঙ্গে সঙ্গে আমবাসা থানাকে অবগত করেন গোয়েন্দা কর্মীরা।

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আমবাসা থানার পুলিশও রেল স্টেশন থেকে পাঁচ জনকে আটক করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন জানান, নিজের পেটের তাগিদে কাজের সন্ধানে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। তারা কেউই রোহিঙ্গা নন।

বিশেষ সূত্রে খবর, ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে প্রত্যেকের কাছে মোটা অঙ্কের বাংলাদেশি টাকা, কিছু অলঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা মামন সর্দার (২৯), মহম্মদ পবন সর্দার (২৭), মহম্মদ চান মিঞা (৩৫), মহম্মদ ফইজুল আকন (১৩), মহম্মদ মহারাজ শিখর (২৫), রাজীব হাউলাদার (২২), মহম্মদ ফেরদৌস শেখ (৩০), রুমানা বেগম (২৫), লোমিয়া আখতার (৫), আফসানা আখতার (২২), রুমা ইসলাম (৩)।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ / সমীপ




 

 rajesh pande