'বিদ্রোহে' রাশ টানতে আলোচনা সফল ব্রাত্য-ডেরেক-কুণালের
কলকাতা, ৪ মে (হি.স.) : তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ কুণাল ঘোষের বিদ্রোহ আপাতত শেষ। আবার ‘মূলস্রোতে’
'বিদ্রোহে' রাশ টানতে আলোচনা সফল ব্রাত্য-ডেরেক-কুণালের


কলকাতা, ৪ মে (হি.স.) : তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ কুণাল ঘোষের বিদ্রোহ আপাতত শেষ। আবার ‘মূলস্রোতে’ ফিরছেন তিনি! শনিবার দুপুরে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বাড়িতে তাঁর যাওয়ার পর সেটাই প্রতিষ্ঠিত হল৷ দলের প্রথম সারির নেতাদের মতে, মেঘ কেটে গিয়েছে। বৈঠক খুবই ‘ইতিবাচক’ হয়েছে।

দু’দিন আগে যাঁকে ‘কুইজ মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন, সেই ডেরেকের বাড়িতে এ দিন হাজির হলেন। পুরো ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ব্রাত্য বসু৷

গত বুধবার যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত হয়৷ উত্তর কলকাতার এক রক্তদান শিবির কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল ঘোষ৷ উত্তর কলকাতায় ছাপ্পা ভোটবন্ধ করার ডাকও দেন৷ এর কয়েক ঘণ্টা পর কুণালকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই নিয়ে পালটা তোপ দাগেন কুণাল৷

কুণালকে অপসারিত করার চিঠিতে সই ছিল ডেরেক ও’ব্রায়েনের৷ তাই ডেরেকের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে ‘কুইজ মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন৷ তার পর একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক সব দাবি করেন৷ তার মধ্যে অন্যতম ছিল যে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সব তথ্য তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ছিল৷ সেই কারণেই একুশের ভোটের পর আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়নি৷

এর পর কুণালকে তৃণমূলের তরফে পালটা কোনও জবাব দেওয়া হয়নি৷ তবে তাঁর নাম তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়৷ গত বুধবার গিয়েছে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ। বৃহস্পতিবার দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ গিয়েছে কুণাল ঘোষের নাম।

সম্প্রতি অনুগামীদের পাশে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলতেও দেখা গিয়েছে কুণালকে। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন তিনি। বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, পদ না থাকলেও দলে থেকেই কাজ করবেন কুণাল। কুণাল বলেন, আজ না হয় কাল মমতাদি-অভিষেক বুঝবেন, অনুধাবন করবেন। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে দলটা চালিয়ে যাব।

সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সমস্যা সমাধান করে বোঝাপড়া সম্ভব। সেই মতো কুণাল ঘোষকে মূলস্রোতে ফেরানোর একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এ দিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়ে কুণাল ঘোষকে ডেরেক ও’ব্রায়েনের বাড়িতে নিয়ে যান।

বৈঠকের পর ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমরা দু’জনেই তৃণমূলের লোক। আর এক জন তৃণমূলের লোকের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। এতে আবাক হওয়ার কী আছে?’’ কুণালের দুঃখ কি মিটেছে? ব্রাত্যের জবাব, ‘‘ধরুন, আমার হাতে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার উপর যদি একটা লিউকোপ্লাস্ট লাগানো থাকে, আপনি কি বলবেন, কবে সারবে? কবে সারবে? সময় দিতে হবে তো!’’ পাল্টা ব্রাত্যকে প্রশ্ন করা হয়, তার মানে ক্ষত ছিল এবং তাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে? তার আর স্পষ্ট জবাব দেননি ব্রাত্য।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande