নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির জন্য কাজ করছি : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির জন্য কাজ করছে বাংলাদেশে
MoS Foreign Employment Shafiqur Rahman Chowdhury


।। রাজীব দে ।।

ঢাকা, ২৫ জুলাই (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা বিদেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কর্মীদের দক্ষ করে জনশক্তিতে রূপান্তর করে বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। বলেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরি।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেছেন।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কবে নাগাদ খুলতে পারে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের কাছে যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে চিঠি লিখেছি। আগামী মাসে আমাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং আছে, শ্রমবাজার কবে খুলবে তখন জানা যাবে।

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়রা আমাদের জানিয়েছে, যেতে না পারা কর্মীদের ৭০ শতাংশকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বায়রাকে বলেছি, কর্মীরা যত টাকা দিয়েছে, সেই টাকা পাওয়ার পর তারা অ্যাগ্রিমেন্টে সাইন করবে, যে আমরা টাকা পেয়েছি। এর পর সেই লিস্ট বায়রা আমাদের পাঠাবে। তখন জানা যাবে কতজন মানুষ টাকা পেয়েছেন। তাই ঠিক কতজন কর্মী টাকা পেয়েছেন এখনই তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছিনা। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে না পারলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরা ইস্যুতে বাংলাদেশিদের শাস্তির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি গতকাল আপনাদের সাথে কথা বলেছি। আজ আবারও বলছি, যে দেশে বসবাস করবে সে দেশের আইন সম্পর্কে তাদের সচেতন থাকা উচিৎ। দুবাইয়ে আন্দোলন করে প্রবাসীরা আইন অমান্য করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এজন্য তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের ব্যাপারে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। এটা তাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সিংহভাগ প্রবাসীদের অবদান আছে। বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার এখন একটা মহল নষ্ট করতে চাচ্ছে। আমি মনে করি, ৭১-এর যুদ্ধোপরাধী জামাত বিএনপি-র প্রেতাত্মারা এ সব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

(হিন্দুস্থান সমাচার)

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস / অরবিন্দ




 

 rajesh pande