দুলালকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি, দাবি এডিজি-র
কলকাতা, ৮ জানুয়ারি (হি.স.): ইংরেজবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। বুধবার এমনই জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির সঙ্গে দ
সুপ্রতিম সরকার


কলকাতা, ৮ জানুয়ারি (হি.স.): ইংরেজবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। বুধবার এমনই জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির সঙ্গে দুলালের গন্ডগোলের কথা। খুনের নেপথ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয় উঠে এসেছে। যদিও কোন বিষয়ে ওই টাকার লেনদেন হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তৃণমূল নেতা খুনে এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিমবাবু ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে

জানান, পাঁচ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নরেন্দ্রনাথকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এবং স্বপন শর্মাকে মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সকালে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়।

সুপ্রতিমবাবু বলেন, ‘‘স্বপন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বোমাবাজি, খুন, দাঙ্গাহাঙ্গামায় তাঁর নামে অজস্র অভিযোগ রয়েছে। তিনি এবং নরেন্দ্রনাথ এই ঘটনার (দুলাল খুনে) মূল চক্রী ছিলেন। কিন্তু কী কারণে তাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, এখনও জানা যায়নি। এই খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। মোট চার দুষ্কৃতীকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দু’জন এখনও পলাতক।’’

পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতাকে খুনের জন্য আর এক তৃণমূল নেতা কেন চক্রান্ত করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। সুপ্রতিমবাবু বলেন, ‘‘এই মামলার দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর ৫০ লক্ষ টাকার ‘রফা’ হলেও ওই টাকার পুরোটা দেওয়া হয়েছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।’’

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande