কলকাতা, ১৬ অক্টোবর, (হি.স.): কালীপুজোর আগেই আতসবাজি নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘তদারকি’ দেখে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার শব্দবাজি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়ে তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের গভর্মেন্ট প্লিডার। এক অর্থে যা রীতিমত ভর্ৎসনার সামিল।
এদিন রাজ্যের ব্যাখ্যা ছিল, ২৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিব সব জেলা শাসকদের নিয়ে গ্রিন বাজি নিয়ে বৈঠক করেছেন, নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করে কড়া হুঁশিয়ারি দেয় আদালত: “আপনাদের ৩০ মিনিট সময় দিলাম। না হলে মুখ্যসচিবকে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই হবে।”
দ্রুত সেই সময়ের মধ্যেই রাজ্যের তরফে রিপোর্ট জমা পড়ে আদালতে। জানানো হয়, বাজি বিক্রেতাদের অগ্নি-সতর্কতা প্রশিক্ষণের জন্য নাম চূড়ান্ত হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন থেমে থাকেনি। জিজ্ঞাসা: “দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কী করছে? শব্দবাজি বা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নিয়েছে?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “আমরা দীপাবলির আগে ও পরে বায়ুদূষণের মাত্রা পরীক্ষা করি।”
বিচারপতির মন্তব্য: “কাজ কি শুরু হয়েছে? কোনও দল বানিয়েছেন কি? বাজির গুণমান পরীক্ষার ব্যবস্থা কোথায়?” পর্ষদ দায় ঠেলে জেলার উপর। বিচারপতির কড়া প্রতিক্রিয়া: “আপনারা যদি দায় না নেন, জেলাশাসকরা কী করবেন?”
এর আগে, ডিভিশন বেঞ্চের সোজাসাপটা প্রশ্ন ছিল: “বাজি বাজার তো খুলে গিয়েছে। কী নির্দেশিকা দিয়েছেন ওদের জন্য? কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?” রাজ্যের উত্তর শুনে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বরং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের আরও খোঁচা: “আপনারাই প্রস্তাব নিচ্ছেন, আবার আপনারাই প্রস্তুত নন! সব কিছু কি শুধু কাগজে-কলমে থাকবে?”
শেষে, ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ: প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। রাজ্য তিন সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত