কোচবিহার বাজিকাণ্ডে ধৃত ৭ জনের জামিন
কোচবিহার, ২৪ অক্টোবর (হি. স.) :কোচবিহারে বাজিকাণ্ডে ধৃতদের জামিন দিল আদালত। প্রাক্তন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে পথ অবরোধ করায় অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯, ১৩২, ১৪৯, ২২৩ ধারা অনুযায়ী খুনের চেষ্টা, আগ্নেয়াস্ত্র ন
কোচবিহার বাজিকাণ্ডে ধৃত ৭ জনের জামিন


কোচবিহার, ২৪ অক্টোবর (হি. স.) :কোচবিহারে বাজিকাণ্ডে ধৃতদের জামিন দিল আদালত। প্রাক্তন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে পথ অবরোধ করায় অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯, ১৩২, ১৪৯, ২২৩ ধারা অনুযায়ী খুনের চেষ্টা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জমায়েত সহ বেশকিছু জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার কোচবিহার আদালতে সেই মামলা ধোপেই টেকেনি। ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জমায়েত করেছিল বলে ধারা দেওয়া হলেও পুলিশ কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। প্রাণঘাতী হামলার নথি দিতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এদিন কোচবিহার আদালত ধৃত ৭ জনকেই জামিন দিয়ে দেয়। এদিকে, অবরোধের ঘটনায় বৃহস্পতিবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এদিন তাকেও আদালতে তোলা হয়। যদিও পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ফলে তাকে দুইদিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের পক্ষের আইনজীবী আব্দুল জলিল আহমেদ বলেছেন, ‘পুলিশের দেওয়া কেস ডায়ারিতে অভিযোগগুলির প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। তাই ধৃতদের জামিন হয়ে গিয়েছে।’

সোমবার গভীর রাতে পুলিশ সুপারের বাংলোর পাশে বাজি ফাটানো ও বাংলোর দিকে বাজি ছোড়ার অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য তাদের লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ। পাঁচজন শিশু সহ সাতজনের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। যদিও প্রাক্তন পুলিশ সুপার মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি বুঝে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে এসপি পদ থেকে সরিয়ে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার পদে পাঠানো হয়। এরপর আজই জামিন হয়ে গেল ধৃত বাকি ৭ জনের।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande