
বেজিং, ২৭ অক্টোবর (হি. স.) : রবিবার রুটিন টহলদারির সময় দক্ষিণ চিন সাগরে আছড়ে পড়ে নৌসেনার একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। যদিও শেষ মুহূর্তে ওই আকাশযান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন পাইলটরা। ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ঘটনায় চিন্তিত ওয়াশিংটন। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মার্কিন সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ২৬ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুরে আকাশে উড়েছিল ব্যাটল ক্যাটস নামে পরিচিত এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টার। তবে ওড়ার কিছুক্ষণ পর চিন সাগরে ভেঙে পড়ে সেটি। অভিযান চালিয়ে কপ্টারে থাকা তিন ক্রু মেম্বারকে উদ্ধার করা হয়। ঠিক আধ ঘণ্টা পর মার্কিন রণতরী থেকে রুটিন অভিযানের অংশ হিসেবে আকাশে ওড়ে নৌসেনার এফএ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সেটিও আছড়ে পড়ে সমুদ্রে দুটি ঘটনাতেই ক্রু মেম্বারদের উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জ্বালানি কম বলে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। মার্কিন নৌবাহিনী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে সকল ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে যে দুর্ঘটনার কারণ তদন্তাধীন। দুর্ঘটনায় আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার সঠিক অবস্থান বা কারণ সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি