উত্তরপূর্বে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ, ‘ওয়ান নর্থ-ইস্ট' নামে গঠিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক ফ্রন্ট
নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব ভারতের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ওয়ান নর্থ-ইস্ট'' (এক উত্তর-পূর্ব) নামে একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা
ওয়ান নর্থ-ইস্ট এর সাংবাদিক সম্মেলন


নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব ভারতের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ওয়ান নর্থ-ইস্ট' (এক উত্তর-পূর্ব) নামে একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ঐতিহাসিক উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-র সভাপতি কনরাড কংখল সাংমা এবং জনজাতি ভিত্তিক ত্রিপুরার আঞ্চলিক দল তিপ্রা মথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র তথা নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী মমোনলুমো কিকন এবং পিপলস্ পার্টি আসামের প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল ল্যাংথাসা।

‘ওয়ান নর্থ-ইস্ট'-এর লক্ষ্য, গোটা অঞ্চলের জন্য এক পতাকা, এক প্রতীক এবং এক আদর্শে আঞ্চলিক ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠা। এই ফ্রন্ট উত্তরপূর্বের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাবলি যেমন অনুন্নয়ন এবং বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়।

সংবাদিক সম্মেলনে কনরাড সাংমা বলেন, 'এটি শুধু একটি জোট নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক ফ্রন্ট। বহু বছর ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তরুণ নেতৃত্বরা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে একই কথা বলেছেন, এখন সময় এসেছে ঐক্যের মাধ্যমে সেই কণ্ঠকে একত্রিঊ করার।'

প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, 'এটি কেবল রাজনৈতিক নয়, একটি আবেগগত ঐক্যও। উত্তরপূর্বের বহুমুখী সমস্যা সমাধানে একক প্ল্যাটফর্ম গঠন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আমাদের লক্ষ্য জনগণের আসল কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা।' তিনি আরও বলেন, 'এই ফ্রন্ট শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে না, ভারতের অন্যান্য প্রান্তে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের পক্ষেও কথা বলবে, যাঁরা প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হন।'

এনপিপি নেতা জেমস সাংমাকে আহ্বায়ক করে নয় (৯) সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি ফ্রন্টের সংবিধান ও রাজনৈতিক নীতি প্রণয়ন, সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ এবং সমমনা দল ও ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বে থাকবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande