
নয়াদিল্লি, ১২ ডিসেম্বর (হি.স.): রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আজ রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, রেল মন্ত্রক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সাহায্যে স্টেশনগুলির পুনর্নির্মাণের জন্য অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প চালু করেছে।
আজ রাজ্যসভায় সাংসদ শ্রী শমিক ভট্টাচার্য উত্থাপিত এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী জানান যে, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচিত ১০১-টি রেল স্টেশনের প্রতিটির বর্তমান অগ্রগতির অবস্থা, যার মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়া কাজের শতাংশ, এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গে যে সাতটি স্টেশনে উন্নয়ন কাজ এখনও শুরু হয়নি সেগুলির নাম ও তার কারণ, অবশিষ্ট স্টেশনগুলিতে কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশিত সময়সীমা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য মন্ত্রকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবং এই স্টেশনগুলিতে সুরক্ষা, প্রবেশযোগ্যতা ও আন্তঃ-মাধ্যমের সংহতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কী কী মূল পরিকাঠামো উন্নয়ন ও যাত্রী সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে - সেই সব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা এবং স্টেশনগুলির উন্নয়নের জন্য সেগুলিকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা। এই মাস্টার প্ল্যানিং-এর অন্তর্ভুক্ত হল :
স্টেশনে প্রবেশাধিকার এবং সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন সাধন
শহরের উভয় দিকের সঙ্গে স্টেশনের সংহতিকরণ
স্টেশন ভবনের উন্নতিসাধন
অপেক্ষাগার, শৌচালয়, বসার ব্যবস্থা, পানীয় জলের বুথের উন্নতিসাধন
যাত্রী চলাচলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও প্রশস্ত ফুট ওভার ব্রিজ/এয়ার কনকোর্স স্থাপন
লিফট/এসকালেটর/র্যাম্প (ঢালু পথ) নির্মাণ করা
প্ল্যাটফর্মের তলদেশ ও প্ল্যাটফর্মের উপর আচ্ছাদনের উন্নতি/ব্যবস্থা করা
‘এক স্টেশন এক পণ্য’ -এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের বিপননের জন্য ছোট দোকান স্থাপন
পার্কিং এলাকা, বহুমাধ্যমের সংহতিসাধন (বিভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থার সংযোগ)
দিব্যাঙ্গজনদের জন্য সুবিধা
উন্নত যাত্রী তথ্য ব্যবস্থা
প্রতিটি স্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, ব্যবসায়িক মিটিং-এর জন্য নির্দিষ্ট স্থান, পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান যে, এই প্রকল্পে প্রয়োজন, পর্যায়ক্রম এবং সম্ভাব্যতা অনুসারে পরিবেশবান্ধব ও স্থিতিশীল সমাধান, ব্যালাস্ট হীন ট্র্যাক ইত্যাদির ব্যবস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদে স্টেশনটিকে একটি সিটি সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে শ্রী বৈষ্ণব জানান যে, এখন পর্যন্ত অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে মোট ১৩৩৭-টি স্টেশন উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১০১-টি স্টেশন রয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত স্টেশনগুলির নামগুলি নিচে দেওয়া হল:
রাজ্য
স্টেশনের সংখ্যা
স্টেশনগুলির নাম
পশ্চিমবঙ্গ
১০১
আদ্রা,আলিপুর দুয়ার জং.,আলুয়াবাড়ি রোড,অম্বিকা কালনা,আনারা,আদ্রা,
অন্ডাল জং.,আন্দুল,
আসানসোল জং.,আজিমগঞ্জ,বাগনান,
বালি,বালুরঘাট,ব্যান্ডেল জং.,
বনগাঁ জং.,বাঁকুড়া,বরাভূম,
বারাসাত, বর্ধমান, ব্যারাকপুর, বেলদা,বহরমপুর কোর্ট, বেথুয়াডহরি, ভালুকা রোড, বিন্নাগুড়ি, বিষ্ণুপুর, বোলপুর শান্তিনিকেতন,
বার্নপুর, ক্যানিং,চন্দননগর,
চাঁদপাড়া, চন্দ্রকোনা রোড, ডালগাঁও,ডালখোলা,
ডানকুনি, ধুলিয়ান গঙ্গা,
ধূপগুড়ি,দিঘা,দিনহাটা,
দমদম জং.,ফালাকাটা,
গড়বেতা,গেদে,হলদিয়া,হলদিবাড়ি, হরিশ্চন্দ্রপুর, হাসিমারা
হিজলি,হাওড়া জং.
জলপাইগুড়ি,জলপাইগুড়ি রোড, জঙ্গিপুর রোড,
ঝালিদা, ঝাড়গ্রাম, জয়চণ্ডী পাহাড় জং.,কালিয়াগঞ্জ,
কল্যাণী, কল্যাণী ঘোষপাড়া
কামাক্ষ্যাগুড়ি,কাটোয়া জং., খাগড়াগাঁট রোড,খড়গপুর জং.,কলকাতা, কৃষ্ণনগর সিটি জং., কুমেদপুর জং., মধুকুন্ডা,মধ্যমগ্রাম,
মালদা কোর্ট, মালদা টাউন
মেচেদা,মেদিনীপুর,নবদ্বীপ ধাম,নৈহাটি জং, নিউ আলিপুরদুয়ার,নিউ কোচবিহার,নিউ ফারাক্কা জং.,
নিউ জলপাইগুড়ি জং.,নিউ মাল জং.,ওন্দাগ্রাম, পানাগড়,পাণ্ডবেশ্বর,
পাঁশকুড়া জং.,পুরুলিয়া জং., রামপুরহাট জং.,রানাঘাট, সাঁইথিয়া জং., শালবনি,সামসি,সাঁতরাগাছি,
শিয়ালদহ,শালিমার,শান্তিপুর,শেওড়াফুলি জং.,শিলিগুড়ি জং,সীতারামপুর,সিউড়ি,
সোনারপুর জং.,সুইসা,
তমলুক, তারকেশ্বর,টুলিন
উলুবেড়িয়া।
মন্ত্রী আরও জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে রেল স্টেশনগুলিতে উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের নয়টি স্টেশনের (আদ্রা/আনরা, বরাভূম, হলদিয়া, জয়চণ্ডী পাহাড়, কল্যাণী ঘোষপাড়া, কামাক্ষ্যাগুড়ি, পানাগড়, সিউড়ি, তমলুক) কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও, ছয়টি স্টেশন (আলিপুর দুয়ার জং., ব্যান্ডেল জং., হাওড়া জং., কলকাতা, নিউ কোচবিহার, রানাঘাট) মাস্টার প্ল্যানিং/টেন্ডারিং-এর বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। অন্যান্য স্টেশনগুলিতেও কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং উপরে উল্লিখিত কয়েকটি স্টেশনের অগ্রগতির অবস্থা নিচে দেওয়া হল :
আজিমগঞ্জ স্টেশন :
আজিমগঞ্জ স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সারফেসিং, প্ল্যাটফর্ম শেড, নতুন দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার স্টেশন ভবন, বর্তমান স্টেশন ভবন, বুকিং অফিস, অপেক্ষাগার, শৌচালয়, চলাচল সংলগ্ন এলাকা, দিব্যাঙ্গজন সুবিধা, কোচ ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফিনিশিং-এর কাজ চলছে।
বহরমপুর কোর্ট স্টেশন:
বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১-এ প্ল্যাটফর্ম শেড, প্ল্যাটফর্ম নম্বর ২/৩-এর প্ল্যাটফর্ম সারফেসিং এবং পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম নম্বর ২/৩-এ প্ল্যাটফর্ম শেড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
খাগড়াঘাট রোড স্টেশন
খাগড়াঘাট রোড স্টেশনে কোচ ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান স্টেশন ভবন, বুকিং অফিস, অপেক্ষাগার, শৌচালয়, চলাচল সংলগ্ন এলাকা, পার্কিং এলাকা এবং দিব্যাঙ্গজন সুবিধার উন্নতিসাধনের কাজ শুরু হয়েছে।
নিউ ফারাক্কা জংশন স্টেশন :
নিউ ফারাক্কা জংশন স্টেশনে বর্তমান স্টেশন ভবন, রিজার্ভ লাউঞ্জ, পোর্টিকো, অপেক্ষাগার, লিফট, কোচ ইন্ডিকেশন বোর্ড, ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং সাইনেজ-এর উন্নতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলাচলের এলাকা, শৌচালয়, এসকালেটর, দিব্যাঙ্গজন সুবিধা এবং ১২ মিটার ফুট ওভার ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
জঙ্গিপুর রোড স্টেশন (Jangipur Road station)
জঙ্গিপুর রোড স্টেশনে স্টেশন ভবনের উন্নতিসাধন, সংলগ্ন এলাকা, কোচ ইন্ডিকেশন বোর্ড, ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড, সাইনেজ এবং লিফটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পোর্টিকো এবং দিব্যাঙ্গজনদের জন্য ব্যবস্থামূলক কাজ শুরু হয়েছে।
ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশন
ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম ভবন, বর্তমান স্টেশন ভবনের উন্নতিসাধন, লিফট এবং দিব্যাঙ্গজনদের সুবিধার জন্য কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভিড় এলাকা এবং চলাচলের এলাকার কাজ শুরু হয়েছে।
শ্রী বৈষ্ণব পুনরায় জোর দিয়ে বলেন যে, ভারতীয় রেল স্টেশনগুলিতে যাত্রী সুবিধা-সহ পরবর্তী উন্নয়ন/পুনর্নির্মাণ/উন্নয়ন সাধন/আধুনিকীকরণ একটি ধারাবাহিক ও চলমান প্রক্রিয়া। এই সংক্রান্ত কাজগুলি প্রয়োজন অনুসারে, এবং আন্তঃ-অগ্রাধিকার ও তহবিল উপলব্ধির সাপেক্ষে হাতে নেওয়া হয়। কাজ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের সময়, নিম্ন স্তরের স্টেশনের চেয়ে উচ্চতর পর্যায়ের স্টেশনের উন্নয়ন/পুনর্নির্মাণ/উন্নয়ন সাধন/আধুনিকীকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, মাস্টার প্ল্যানিং হল একটি পুনরাবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়া যার জন্য অনুকূলতা প্রয়োজন এবং এই পর্যায়ে এই ধরনের অনুকূলতার জন্য সময়সীমা এবং অন্যান্য বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর-ও জানান যে, রেলস্টেশনগুলির উন্নয়ন সাধন প্রকৃতিগতভাবে জটিল, কারণ এতে যাত্রী ও ট্রেনের সুরক্ষা জড়িত থাকে এবং আগুন সংক্রান্ত ছাড়পত্র, ঐতিহ্য , গাছ কাটা, বিমানবন্দর থেকে ছাড়পত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিধিবদ্ধ অনুমতির প্রয়োজন হয়।
এছাড়াও, ব্রাউনফিল্ড সম্পর্কিত প্রতিকূলতার কারণেও কাজের অগ্রগতি প্রভাবিত হয়, যেমন ইউটিলিটিগুলি স্থানান্তরিত করা (যার মধ্যে জল/নর্দমার লাইন, অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, গ্যাস পাইপ লাইন, বিদ্যুৎ/সিগন্যাল কেবল ইত্যাদি জড়িত), লঙ্ঘন , যাত্রীদের চলাচল ব্যাহত না করে ট্রেন চালানো, ট্র্যাক এবং উচ্চ ভোল্টেজ পাওয়ার লাইনের খুব কাছাকাছি কাজ করার কারণে গতির উপর নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি। এই কারণগুলি কাজের সমাপ্তির সময়কে প্রভাবিত করে। এই কারণে, এই পর্যায়ে কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয়।
ভারত সরকারের “সুগম্য ভারত মিশন” বা ‘অ্যাক্সেসিবল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন’-এর অংশ হিসেবে ভারতীয় রেলওয়ে দিব্যাঙ্গজন এবং সীমিত গতিশীলতাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য তার রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে প্রবেশযোগ্য করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাইটস অফ পারসনস উইথ ডিসএবিলিটিস অ্যাক্ট, ২০১৬ মেনে, ভারতীয় রেলস্টেশনগুলির প্রবেশগম্যতা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং সীমিত গতিশীলতাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য স্টেশনে সুবিধা সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রচারিত হয়েছে এবং তা গেজেট অফ ইন্ডিয়াতে বিজ্ঞাপিত হয়েছে।
এই নির্দেশিকাগুলির মধ্যে দিব্যাঙ্গজন এবং সীমিত গতিশীলতাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন: প্রবেশপথের র্যাম্প, প্রবেশযোগ্য পার্কিং, কম উচ্চতার টিকিট কাউন্টার/সহায়তা বুথ, শৌচালয়, পানীয় জলের বুথ, র্যাম্প/লিফট সহ সাবওয়ে/ফুট ওভার ব্রিজ, ব্রেইল সাইনেজ সহ মানসম্মত সাইনেজ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পর্শযোগ্য পথ ইত্যাদি।
অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প-সহ স্টেশনগুলির উন্নয়ন/উন্নয়ন সাধন/আধুনিকীকরণ সাধারণত প্ল্যান হেড-৫৩ ‘গ্রাহক সুবিধা’-র অধীনে অর্থায়ন করা হয়। প্ল্যান হেড-৫৩-এর অধীনে বরাদ্দ ও ব্যয়ের বিবরণ কাজ-ভিত্তিক, স্টেশন-ভিত্তিক বা রাজ্য-ভিত্তিক না রেখে জোনাল রেল-ভিত্তিক বজায় রাখা হয়। পশ্চিমবঙ্গ চারটি রেলজোনের আওতাভুক্ত, যেমন: পূর্ব রেল, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং মেট্রো রেল। এই জোনগুলির জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১,৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত (অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত) ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
শুক্রবার এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ