বেতন বৃদ্ধি ও সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে দুর্গাপুরে পুরসভার আশাকর্মীদের অবরোধ
দুর্গাপুর, ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.): বছর শেষের দিনে আরও জোরালো হল আশাকর্মীদের আন্দোলন। বেতন বৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ ও সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি-সহ একাধিক দাবিতে বুধবার দুর্গাপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হল দুর্গাপুর নগর নিগমের অধীন আশাকর্মীরা। দাবি আদায়
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অবরোধ  দুর্গাপুরে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের


দুর্গাপুর, ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.): বছর শেষের দিনে আরও জোরালো হল আশাকর্মীদের আন্দোলন। বেতন বৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ ও সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি-সহ একাধিক দাবিতে বুধবার দুর্গাপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হল দুর্গাপুর নগর নিগমের অধীন আশাকর্মীরা।

দাবি আদায়ে কাজ বন্ধ রেখে দুর্গাপুর মহকুমা অফিসের সামনে অবরোধ শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কন্ট্রাকচুয়াল ইউনিয়নের সদস্যরা। এক পর্যায়ে রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন দুর্গাপুর পুরসভার আশাকর্মীরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। বুধবার সেই কর্মবিরতির অংশ হিসেবেই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আন্দোলনরত আশাকর্মীদের অভিযোগ, দুর্গাপুর পুরসভার অধীন একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের দৈনিক ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। অথচ মাসিক পারিশ্রমিক পাঁচ হাজার টাকার সামান্য বেশি। এতে চরম আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।

পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কন্ট্রাকচুয়াল ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদিকা কেকা পাল বলেন, “গত ২২ আগস্ট কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু দেখা হয়নি। ১১ নভেম্বর নগরোন্নয়ন দফতরে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও সাক্ষাৎ মেলেনি। সাত দিনের মধ্যে ডাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তাই ২৩ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের ১২৯টি পুরসভা ও গ্রামীণ এলাকার আশাকর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার সঙ্গে আমাদের দাবিগুলি বিবেচনা করুন।”

এদিকে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণচন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। তাই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমি তাঁদের দাবিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।”

অন্যদিকে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “কাজে যোগ দিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক, তিনি অবশ্যই আশাকর্মীদের পাশে আছেন।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande