সাব্রুমে শুরু হল হ্যান্ডলুম এক্সপো
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী হস্ততাঁত ও হস্তশিল্পকে দেশব্যাপী পরিচিত করে তুলতে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে বুধবার শুরু হয়েছে রাজ্য হ্যান্ডলুম এক্সপো। ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষ
হ্যান্ডলুম এক্সপো উদ্বোধন


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী হস্ততাঁত ও হস্তশিল্পকে দেশব্যাপী পরিচিত করে তুলতে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে বুধবার শুরু হয়েছে রাজ্য হ্যান্ডলুম এক্সপো। ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতায় সাব্রুম মেলার মাঠে আয়োজিত এই প্রদর্শনী চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এক্সপো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বুধবার বিকেল ৪টায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক্সপোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জনজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হ্যান্ডলুম, হস্তশিল্প ও সেরিকালচার দফতরের আধিকারিকরা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ এবং সাব্রুম মহকুমা শাসক অভিজিৎ সিং যাদব।

ত্রিপুরা হ্যান্ডলুম অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফটস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই এক্সপোতে অংশ নিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তাঁতি ও কারুশিল্পীরা। তাঁরা প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন হাতে বোনা বস্ত্র, শাড়ি, শাল, বাঁশ–কাঠের সামগ্রী, ঐতিহ্যবাহী গয়না এবং নানাবিধ হস্তশিল্প।

এক্সপোকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের মেলা গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন প্রাণসঞ্চার করে। সরাসরি উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় শিল্পীরা ন্যায্য মূল্য পেতে সক্ষম হন এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা কমে। এর ফলে তাঁতি ও কারুশিল্পী পরিবারের আয় বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়।

এ ধরনের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে উৎসাহিত করবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ত্রিপুরার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কারুশিল্পকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে রাজ্য হ্যান্ডলুম এক্সপো যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, তা নিয়ে আশাবাদী আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande