জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের ফসল, লোকসভায় সাফল্যের দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বিভিন্ন ধরনের ফসল উদ্ভাবন, প্রতি ফোঁটায় আরও ফসল (পিডিএমসি), গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা (জিকেএমএস), মোবাইল অ্যাপ ‘মেঘদূত’, সামাজিক মাধ্যম থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা, বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রভৃতি নানা প্রকল্পে ভারত
Parliament


নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বিভিন্ন ধরনের ফসল উদ্ভাবন, প্রতি ফোঁটায় আরও ফসল (পিডিএমসি), গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা (জিকেএমএস), মোবাইল অ্যাপ ‘মেঘদূত’, সামাজিক মাধ্যম থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা, বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রভৃতি নানা প্রকল্পে ভারতের সাফল্যের দাবি করলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভগীরথ চৌধুরী। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মঙ্গলবার এ ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানান।

ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ আইসিএআর-এর তত্ত্বাবধানে আইসিএআর ইন্সটিটিউট এবং রাজ্য / কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ জাতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থা এনএআরএস ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২,৯০০টি বিভিন্ন ধরনের ফসল উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে কেরালায় ৬৩ ধরনের ফসল উদ্ভাবন করা হয়েছে, যার ২৩টি শস্য, ২টি তৈলবীজ, ১০টি ডাল, ১৫টি ঘাস জাতীয় এবং ১৩টি আখ জাতীয় ফসল রয়েছে। এই ফসলগুলির মধ্যে ৫৮টি সবরকম জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ভারত সরকারের প্রতি ফোঁটায় আরও ফসল পিডিএমসি প্রকল্পটি ২০১৫-১৬ সাল থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্পে খামারে জল ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে বিভিন্ন উপায়ে জল সাশ্রয়ের পাশাপাশি সারের ব্যবহার কম করা, অন্যান্য উপকরণ ব্যয় হ্রাস এবং শ্রম কমানোর মতো বিষয়ে নজর দেয় ও কৃষকের সামগ্রিক আয় বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়। সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ৫৫ শতাংশ ও অন্যান্য কৃষকদের ৪৫ শতাংশ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

চরম আবহাওয়ার জন্য ফসলের ক্ষতি এড়াতে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ আইএমডি গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা জিকেএমএস নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এটি ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ আইসিএআর ও রাজ্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তায় কৃষির উপযোগী আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান করে।

ভারত সরকারের মোবাইল অ্যাপ মেঘদূত এবং মৌসম-এর সাহায্যে কৃষকরা তাঁদের নিজ নিজ জেলার জন্য আবহাওয়ার সতর্কতা ও সেই অনুযায়ী কৃষি পরামর্শ পেতে পারেন। এর ফলে তাঁদের কৃষি কাজের বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যম থেকেও কৃষকরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারেন। প্রায় ৪০ লক্ষ কৃষক এই সব মাধ্যম থেকে ইংরেজি ও আঞ্চলিক ভাষায় তথ্য সংগ্রহ করছেন।

সম্প্রতি ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রক ২৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ভারতের সমস্ত গ্রামপঞ্চায়েতের জন্য পঞ্চায়েত স্তরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন ই-গ্রামস্বরাজ, মেরি পঞ্চায়েত অ্যাপ এবং ই-মানচিত্র-এর সাহায্যে তথ্য পাওয়া যায়।

খরা পর্যবেক্ষণের জন্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগ স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের সহযোগিতায় একটি জিও পোর্টাল তৈরি করেছে। এর সাহায্যে বৃষ্টিপাত, মাটির আর্দ্রতা, জল সঞ্চয় বা খরা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। এই পোর্টালটি একটি একজানালা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। খরা পরিস্থিতি সনাক্তকরণে সাহায্য করে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande