শ্রীভূমির বাজারিছড়ায় লাভ-জিহাদের শিকার জনজাতি যুবতী ও তাঁর খ্ৰিষ্ট ধৰ্মাবলম্বী মা পরাবর্তিত হিন্দু ধর্মে
শ্রীভূমির বাজারিছড়ায় লাভ-জিহাদের শিকার জনজাতি যুবতী ও তাঁর খ্ৰিষ্টধৰ্মাবলম্বী মা পরাবর্তিত হিন্দু ধর্মে
শ্রীভূমির বাজারিছড়ায় পরাবর্তন অনুষ্ঠান


বাজারিছড়া (অসম), ১১ মাৰ্চ (হি.স.) : লাভ-জিহাদের শিকার হয়ে বছর ছয় আগে সুখের সংসার করবেন প্ৰতিশ্ৰুতি বলে ‘মামন দাস’ নামের এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন জনজাতিভুক্ত জনৈক যুবতী। বছর চারেক পর তাঁর ভ্রম ও ঘোর কাটে তাঁর। সব ঘোর কাটিয়ে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী বৃদ্ধা মা খনতে চড়াইকে সঙ্গে নিয়ে নিজের গর্ভজাত সন্তান সহ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ফের স্বধর্মে পরাবর্তন করেছেন জনজাতিভুক্ত রিঙনাকতিং চড়াই।

ঘটনা শ্রীভূমি জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার বাজারিছড়া থানাধীন চন্দ্রপুরের। বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, গত র‌বিবার বৈদিক উপাচারে হোম-যজ্ঞ ও মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে খনতে চড়াই (খ্রিষ্টান), তাঁর মেয়ে রিঙনাকতিং চড়াই (মুসলিম) ও তাঁর শিশুসন্তানকে সনাতনী হিন্দুধর্মে পরাবর্তিত করা হয়েছে। গোটা পরাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং হিন্দু জাগরণ মঞ্চ দক্ষিণ অসম-এর উদ্যোগে।

পরাবর্তিত রিঙনাকতিং চড়াই জানান, বছর ছয় আগে জনৈক ‘মামন দাস’কে বি‌য়ে ক‌রে বেঙ্গালুরু‌তে চ‌লে যান তাঁরা। ‘মামন দাস’ মূলত মুসলিম। সে তার নাম-ধাম গোপন করে নিজেকে ‘মামন দাস’ বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর সা‌থে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন তাঁদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান রিঙনাকতিং। তখন তাকে চন্দ্রপুরে (বাজারিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত) অবস্থিত তার (রিঙনাকতিং) এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় প্রতারক স্বামী।

তখন থেকে উভ‌য়ের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ইত্যবসরে এক সন্তানের জন্ম দেন রিঙনাকতিং। সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে গেলে রিঙনাকতিং জানতে পারেন, তাঁর স্বামী হিন্দু নয় মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তা দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন রিঙনাকতিং। উপায়ান্তরহীনা রিঙনাকতিং চড়াই নিজের গর্ভজাত শিশুসন্তানকে নিয়ে চন্দ্রপুরে বাপের বাড়িতে এসে ফের আশ্রয় নেন। এভা‌বে কে‌টে যায় প্রায় ছয় বছর।

সম্প্রতি রিঙনাকতিং এবং তাঁর মা খনতে চড়াই স্বধ‌র্মে প্ররাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁরা হিন্দু জাগরণ মঞ্চ অসম-এর শরণাপন্ন হন এবং গত রবিবার সনাতনী যাগযজ্ঞ্রের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে পরাবর্তন করানো হয়।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রায় দশ বছর আগে খন‌তে চড়াই প্রলোভনের শিকার হয়ে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরণের পর তিনিও সুখে থাকতে পারেননি। সব সময় তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। অবশেষে শিশুসন্তান সহ মা ও মেয়ে ফের হিন্দু ধ‌র্মে পরাবর্তিত হন।

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণ অসম প্রান্ত সংযোজক অসিত চক্রবর্তা জানান, তাঁরা নি‌জে‌দের ভুল বুঝে স্বেচ্ছায় ফের স্বধর্মে ফিরে এসেছেন, তাতে আমরা আনন্দিত। তাঁরা উপলব্ধি করতে পেরেছে, হিন্দু ধর্মের মতো শান্তি আর অন্য কোনও ধর্মে নেই। অসিত চক্রবর্তী আরও ব‌লেন, হিন্দু‌দের আর প্রলো‌ভিত ক‌রে ধর্মান্তরণ কর‌তে দেওয়া হ‌বে না। জনজাতিদের ম‌ধ্যে যাঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে চলে গেছেন তাঁরা যাতে উপজাতি বলে কোনও সুযোগ-সুবিধা না পায় তার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

পরাবর্তন কার্যক্রমে অসিত চক্রবর্তী ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বাজারিছড়া খণ্ড কার্যবাহ সত্যজিত দাস, প্রমেশ দাস ও অঞ্জন দাস, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের রামকৃষ্ণনগর ও শ্রীভূমি জেলার সংযোজক অর্জুন দাস, চন্দ্রপুর গ্রাম সমিতির সংযোজক লিলি চড়াই, রাঙামাটির গ্রাম সংযোজক মানিক চড়াই।

হিন্দুস্থান সমাচার / মনোজিৎ দাস




 

 rajesh pande