কলকাতা, ১১ মার্চ (হি.স.): দুই ছাত্রীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে মোম ঢেলে অত্যাচারের অভিযোগের মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার তদন্তভার আইজি (প্রশিক্ষণ), মুরলীধর শর্মার হাতে তুলে দিল হাই কোর্ট। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন। আগামী ২৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন অশান্তির জেরে গত সপ্তাহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মেদিনীপুর কলেজও। সেখানকার বাম ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ছাত্রীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সুচরিতা দাস ও সুশ্রীতা সরেন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মঙ্গলবার ছিল মামলাটির শুনানি। সওয়াল-জবাবে আন্দোলনকারীদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে মেদিনীপুর কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলছিল। সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মাঝরাতে গ্রেফতার না দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। তার আগে পুলিশ হেফাজতে বেধড়ক মারধর করা হয়। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, হুমকিও দেওয়া হয়। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক বলে দাবি তাঁর।
আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, আগে অনুসন্ধান হওয়া উচিত। তারপরে এফআইআর হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেন, ”যখন তরুণী থানায় আসেন, তখন তার সঙ্গে একাধিক আইনজীবী ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ আছে। তাকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। দুপুরে থানার হেফাজতে ঘুমোয়। বিকেলে কোনও একটা সংগঠনের সঙ্গে চ্যাট করতে থাকে। মিথ্যে অভিযোগ করে পুলিশের নীতি ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তা শুনে বিচারপতি ঘোষ জানান, পুলিশের বক্তব্য নিয়ে আপত্তি থাকলে হলফনামা দিতে হবে। থানার ওসিকে হলফনামা দিতে হবে। এরপর তিনি আইজি (প্রশিক্ষণ), মুরলীধর শর্মাকে তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা-সহ তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন। ২৬ মার্চ পরবর্তী শুনানি।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত