ধর্মনগরে চার রোহিঙ্গা সহ দুই ভারতীয় দালালকে আটক করল বিএসএফ
কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ১৫ মার্চ (হি.স.) : আবারও অনুপ্রবেশের ঘটনা। ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর সীমান্ত পেরিয়ে চার রোহিঙ্গা দুই ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ কৈলাসহর ব্রাঞ্চের জওয়ানরা ধর্মনগরের রাজবাড়ি এলাকার আইএ
রোহিঙ্গা আটক


কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ১৫ মার্চ (হি.স.) : আবারও অনুপ্রবেশের ঘটনা। ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর সীমান্ত পেরিয়ে চার রোহিঙ্গা দুই ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ কৈলাসহর ব্রাঞ্চের জওয়ানরা ধর্মনগরের রাজবাড়ি এলাকার আইএসবিটি থেকে তাদের আটক করে। ধৃত রোহিঙ্গারা হলেন জাহির আলম (৩২), রবিনা হক (৩৫) (কাল্পনিক নাম), জাহানারা বেগম (১৮) (কাল্পনিক নাম) এবং এক নাবালিকা (১৫)। ভারতীয় দালালরা হলেন কৈলাসহরের আব্দুল মনির (৪৫) এবং যুবরাজ নগরের কামরুল হোসেন (৩০)।

ধৃতদের একজন জানান, তারা মাথাপিছু ২৫ হাজার টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে কৈলাসহর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। তাদের পরিকল্পনা ছিল বদরপুর হয়ে দিল্লি যাওয়া। যেখানে তারা কাজের সন্ধানে যেতে চেয়েছিলেন। বিএসএফের কাছে আগেই খবর ছিল যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বেআইনিভাবে সীমান্ত পার করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়।

তবে এই ঘটনার মধ্যেও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। সাধারণত অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু ১৪ মার্চ বিকেলে আটক করার পর তাদের ১৫ মার্চ সকাল ১১টা নাগাদ কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতালে নেওয়া হয়। কেন এত দেরি করা হলো, তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিএসএফের টিআর-০১-এসি-১৫৮২ নম্বরের গাড়িতে করে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের ডাক্তার সুমঙ্গল সরকার জানান, ছয়জনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুজন মহিলা ছিলেন। যাদের মধ্যে একজন নাবালিকা।

স্থানীয়দের দাবি, দালাল চক্রের সক্রিয়তার পাশাপাশি নজরদারির অভাব থাকায় এ ধরনের অনুপ্রবেশ ক্রমাগত ঘটছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা না হলে ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও প্রকট হবে। প্রযুক্তিগত নজরদারি, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সীমান্ত নিরাপত্তার এই ফাঁকফোকর আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande