নয়াদিল্লি, ২৩ মে (হি.স.): চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের জোড়া আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ওএমআর শিটে কারচুপি হয়ে থাকলে তাঁরা আর নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, এপ্রিল মাসের বেতন না আটকানোর আর্জিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও বিপাকে ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগী ও করুণা নন্দীরা। তাঁদের দাবি, মূলত চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকায় রয়েছেন তিন ধরনের চাকরিপ্রাপকরা। একদল প্যানেল বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছেন, আর এক দল সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তৃতীয়ত যাঁরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। এই তিন ধরনের কেউ সুপ্রিম কোর্টের জোড়া মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নন।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, “রায় ঘোষণার পরে এখন যোগ্য বা অযোগ্যর কথা কীভাবে বলছেন?” সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানানো হয়, গত ৩ এপ্রিলের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না। তাই ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের দু’টি আবেদনই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। তার ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা। তাঁদের মধ্যে প্রায় সাত হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীকে ‘অযোগ্য’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে আবার নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম, দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁদের দাবি, সিবিআই এবং এসএসসির কাছে থাকা একই ওএমআর শিটে নম্বর আলাদা। এই যুক্তিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। এছাড়া এপ্রিল মাসের বেতন না আটকানোর আর্জিও জানানো হয়েছিল।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত