খোয়াইয়ে রেগা কর্মচারীদের জেলা সম্মেলনে আট দফা দাবিপত্র পেশ
খোয়াই (ত্রিপুরা), ২৪ মে (হি.স.) : ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক অধ্যায়ের সূচনা হল অল ত্রিপুরা মনরেগা এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এই সম্মেলন ছিল রেগা কর্ম
রেগা কর্মচারীদের সম্মেলন


খোয়াই (ত্রিপুরা), ২৪ মে (হি.স.) : ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক অধ্যায়ের সূচনা হল অল ত্রিপুরা মনরেগা এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এই সম্মেলন ছিল রেগা কর্মচারীদের পেশাগত অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে এক ঐক্যবদ্ধ উচ্চারণ।

সম্মেলনের সূচনা করেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, কল্যাণপুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি রঞ্জিত দেববর্মা ও রাজ্য কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার দাস। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ২৫০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলন মঞ্চ থেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে পেশ করা হয় আট দফা দাবিপত্র। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল— রেগা কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ। চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি। সরকারি কর্মচারীদের সমতুল্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান। ‘সম কাজে সম বেতন’ নীতি কার্যকর করা। কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত কর্মচারীদের পরিবারকে চাকরির সুযোগ প্রদান। নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় বলেন, “বর্তমান সরকার প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর পাশে রয়েছে। রেগা কর্মচারীদের সঠিক মূল্যায়ন ও মর্যাদা রক্ষার্থে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।” বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরীও রেগা কর্মীদের প্রয়োজনীয় দাবি নিয়ে সরকার সংবেদনশীল ও সক্রিয়ভাবে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন।

সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে সর্বসম্মতিক্রমে অংশুমান মজুমদারকে সভাপতি, শ্যামসুন্দর সূত্রধরকে সেক্রেটারি করে ২৫ সদস্যের খোয়াই জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande