রবিবার সাঁতারু ব্রজেন দাসের প্রয়াণ দিবস
কলকাতা, ১ জুন(হি.স.):বিশ্ব দরবারে বাঙালিকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে যে ক’জন বাঙালির অবদান রয়েছে, ব্রজেন দাস তাদের অন্যতম।১৯৯৮ সালের ১ জুন এই কৃতী সাঁতারু মৃত্যুবরণ করেন। ব্রজেন দাসের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ , বাংলাদেশ ) বেঙ্গল প
সাঁতারু ব্রজেন দাস ইতিহাসের এক গৌরবময় নাম, আজ তার মূত্যু দিন


কলকাতা, ১ জুন(হি.স.):বিশ্ব দরবারে বাঙালিকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে যে ক’জন বাঙালির অবদান রয়েছে, ব্রজেন দাস তাদের অন্যতম।১৯৯৮ সালের ১ জুন এই কৃতী সাঁতারু মৃত্যুবরণ করেন।

ব্রজেন দাসের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ , বাংলাদেশ ) বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বিক্রমপুরের কুচিয়ামোড়া গ্রামে। তিনি ১৯৪৬ সালে বাংলাদেশের কেএল জুবিলি হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ।

তিনি এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে প্রথম সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯৫৮ সালের ১৮ আগস্ট বিপদসংকুল ইংলিশ চ্যানেল জয় করে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণে বাঙালির সাফল্যের প্রথম স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন।

এই উপমহাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন একমাত্র ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রায় মধ্যরাতে ফ্রান্সের তীর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিকূল পরিবেশে সাঁতার কেটে পর দিন বিকেলে প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংল্যান্ড তীরে এসে পৌঁছান ব্রজেন দাস। ব্রজেন দাস সর্বমোট ৬ বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০ এবং ১৯৬১ সালে। ১৯৬১ সালে ১০ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

তাঁকে সম্মান জানাতে ১৯৬৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন সুইমিং 'হল অফ ফেমে' অন্তর্ভুক্ত করে। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে 'প্রাইড অফ পারফর্মেন্স' পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৮৬ সালের চ্যানেল সুইমিং এসোসিয়েশন অফ দা ইউনাইটেড কিংডম তাকে 'কিং অফ চ্যানেল' উপাধিতে ভূষিত করে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার থেকে ১৯৭৬ সালে জাতীয় পুরস্কার এবং ১৯৯৯ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত করে।

১৯৯৭ সালে তাঁর ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। কলকাতাতেই তাঁর চিকিৎসা হয়।কিন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯৯৮ সালের

১ জুন এই কৃতী সাঁতারু মৃত্যুবরণ করেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / শান্তি রায়চৌধুরি




 

 rajesh pande