কলকাতা, ১৪ জুন(হি.স.): অবশেষে চোকার্স তকমা ঘুচল দক্ষিণ আফ্রিকার। গত তিনদিন ধরে পেন্ডুলামের মতো দুলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ভাগ্য। শনিবার চতুর্থ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফাইনাল ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে কাটল তাদের প্রায় ২৭ বছরের আইসিসি ট্রফি-খরা।
ফাইনালের প্রথম দিনে টস জিতে বোলিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ শেষে এটাই স্পষ্টভাবে বলা যায়, এই টস জয়ই দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছিল। কারণ দ্বিতীয় দিনের পর ব্যাটিং সহজ হয়ে গিয়েছিল। তার পুরো সুবিধাটাই পেয়ে গিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম- টেম্বা বাভুমারা। ম্যাচের শেষদিকে পিচ ব্যাটিং এতটা সহায়ক হয়ে গিয়েছিল যে প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউডদের মতো বোলাররা কোনও সুইং পাচ্ছিলেন না। ফলে তারা ভাঙতে পারেননি মার্করামদের প্রতিরোধ। তাই চেষ্টা করেও ২৮১ রান ডিফেন্ড করতে পারেনি অজিরা। তাই চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রান তাড়া করে ৫ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
আফ্রিকার বিশ্বজয়ের বড় নায়ক হয়ে থাকলেন মার্করাম। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন তিনিই। তার অপ্রতিরোধ্য ২০৭ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসটাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম বিশ্বজয়ের মুকুট পরাল। তিনি যখন আউট হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা তখন জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে। তবে অধিনায়ক বাভুমার কথা বলতেই হবে । কারণ দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ১৩৪ বলে ৬৬ রানের যে ইনিংসটা তিনি খেলেছেন তা ছিল খুবই মূল্যবান। দলের ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় উইকেটে ছিলেন বাভুমা। আর দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ডেভিড বেডিংহ্যাম। প্রথম ইনিংসে ৪৫ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
আর জয়ের আরেক বড় তারকা কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিজ্ঞ পেসার নিজেকে প্রমাণ করলেন বড় মঞ্চে। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ৯ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট গেছে লুঙ্গি এনগিডির ঝুলিতে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / শান্তি রায়চৌধুরি