ভাঙা সেতু মেরামতির দাবিতে বিক্ষোভ ক্যানিংয়ে
ক্যানিং, ১৫ জুন (হি. স.): দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর বেহাল অবস্থা। ক্যানিংয়ের ডাবু খালের উপর নির্মিত উত্তর অঙ্গদবেরিয়া ও দক্ষিন অঙ্গদবেরিয়া সংযোগকারী সখেরহাট বটতলার কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ভেঙে যাওয়া এই সেতু মেরামতির কোন উদ্
ভাঙা সেতু মেরামতির দাবিতে বিক্ষোভ ক্যানিংয়ে


ক্যানিং, ১৫ জুন (হি. স.): দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর বেহাল অবস্থা। ক্যানিংয়ের ডাবু খালের উপর নির্মিত উত্তর অঙ্গদবেরিয়া ও দক্ষিন অঙ্গদবেরিয়া সংযোগকারী সখেরহাট বটতলার কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ভেঙে যাওয়া এই সেতু মেরামতির কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন। এ বিষয়ে বারে বারে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন, বিধায়ককে জানালেও কোন লাভ হয়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের। বার বার শুধুই আশ্বাস মিলেছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না বলে রবিবার এলাকার মানুষজন একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেতুটি সেচ দফতরের অধীন হলেও তাঁরা এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ।

বছর পনেরো আগে এখানে থাকা কংক্রিটের সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর পাশে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয় সেচ দফতরের তরফ থেকে। কিন্তু এই কাঠের সেতুটিও বছর চারেক আগে ভেঙে যায়। তারপর থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষ এই সেতুটি মেরামতি কিম্বা বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের সেতু তৈরির আবেদন জানিয়ে এলেও কোন লাভ হয়নি। প্রতিদিন স্থানীয় বঙ্কিম সর্দার কলেজ, সরকারি আইটিআই কলেজ, অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র সহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলে ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক, শিক্ষিকাদের যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙাচোরা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তেমনি এলাকার সাধারণ মানুষ সহ আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেতু থেকে পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙছে। রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষদের। আর সেই কারনেই এদিন তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।

এই কাঠের সেতুর উপর দিয়ে ক্যানিং ১ ব্লকের দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া, নিকারীঘাটা, গোপালপুর ও দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকার স্কুল, কলেজ, থানা, রেল স্টেশন, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দফতরে যেতে হলে অন্যতম ভরসা এই কাঠের সেতু। নড়বড়ে ভাঙাচোরা এই কাঠের সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। নতুবা কয়েক কিলোমিটার ঘুরে দৈনন্দিন কাজকর্ম মেটাতে হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধিদের কাছে বারে বারে দরবার করেছেন এলাকার মানুষ কিন্তু সুরাহা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা শুভঙ্কর মণ্ডল, মহসিন গাজী, রমা পাল, সুজাউদ্দিন গায়েনরা জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতুটি ভেঙে রয়েছে। পাশে একটি কংক্রিটের সেতু ছিল সেটিও বহু আগেই ভেঙে গিয়েছে। এই ভাঙা সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। প্রান হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। সকলকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।”

এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তিনি বলেন, “ ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সেচ দফতরের তরফ থেকে কাঠের সেতুর কাজ দু একদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে। তবে এলাকার মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকেও যাতে এলাকায় কংক্রিটের সেতু তৈরি করা যায় সেই চেষ্টাও চলছে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande