টিআরবিটি পরিচালিত টেট পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা, ১৮ জুন (হি.স.) : টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ত্রিপুরা (টিআরবিটি) পরিচালিত টেট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে হতাশ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ হ
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা


আগরতলা, ১৮ জুন (হি.স.) : টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ত্রিপুরা (টিআরবিটি) পরিচালিত টেট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে হতাশ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ হতেই পারে। এর রাস্তা খোলা রয়েছে।

টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ত্রিপুরা তথা টিআরবিটি মঙ্গলবার রাতে শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা টেট-ওয়ান এবং টেট-টু এর ফলাফল প্রকাশ করেছে। টেট-ওয়ান এবং টেট-টু পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার অতি নগণ্য। টেট-ওয়ান পরীক্ষায় পাশের হার ৫.৫৬ শতাংশ। অপরদিকে টেট-টু পরীক্ষায় পাশের হার আরও কম, মাত্র ৪.৯২ শতাংশ। টেট পরীক্ষার উভয় বিভাগের ফলাফল নিয়ে রীতিমত হতাশ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।

বুধবার রাজধানীর মহারানী তুলসীবতী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টেট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারের টেট পরীক্ষায় তেমন একটা সাফল্য নেই।কেন সাফল্য নেই তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেক তথ্য তাঁর কাছে এসেছে। এই তথ্য পেয়ে আগামীদিনে এই বিষয়ে কি করা যায় তা নিয়ে ভাবছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ হবে। আগামী প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের যদি গুণগত শিক্ষা প্রদান করা না যায় তবে মুশকিল।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষাগুলিতেও প্রশ্নপত্র নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে পরে প্রশ্ন উঠে। এমনটা শুধু ত্রিপুরাতেই হচ্ছে তা নয়। অনেক জায়গাতেই হয়। এই নিয়ে চ্যালেঞ্জ হতেই পারে। এর রাস্তা খোলা রয়েছে। তা নিয়ে কোন সমস্যা নেই বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, টেট-ওয়ান পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ৯ হাজার ২ জন। পরীক্ষায় বসেন ৮ হাজার ২৪০ জন। পরীক্ষায় পাশ করেছেন মাত্র ৪৫৮ জন। অপরদিকে টেট-টু পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ৩৫ হাজার ১৪৮ জন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৩২ হাজার ২৮৬ জন। টেট টু পরীক্ষায় পাশ করেন মাত্র ১ হাজার ৫৮৯ জন।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande