আগরতলা, ১৮ জুন (হি.স.) : বুধবার একটি বিশেষ পকসো আদালত সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫,০০০ টাকা জরিমানা করেছে।
মামলার বিশদ বিবরণ দিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী অস্মিতা বণিক বলেন, “এই জঘন্য ঘটনাটি ২০২৩ সালের আগস্টে ঘটেছিল। ১১ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে তার নিজের সৎ বাবা ধর্ষণ করেছিলেন। সাব্রুমে বসবাসকারী তার বড় বোন ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে এফআইআর দায়ের করেন। অন্যদিকে, তার মা অভিযুক্তকে নিয়ে পালিয়ে যান।”
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তদন্তকারী পুলিশ অফিসার রুমি বালা বৈদ্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চার্জশিট জমা দেন আদালতে। আদালতে পেশ করা সমস্ত প্রমাণ এবং ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে, বিশেষ পকসো বিচারক সুনীল সিং এই রায় ঘোষণা করেন।
আইনজীবী আরও জানান, বিচার চলাকালীন, ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। দোষী ব্যক্তিকে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের (পকসো) ধারা ৬, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ এবং ৫০৬ এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালত রাজ্য আইনসেবা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিবকে সিআরপিসির ধারা ৩৫৭ এর অধীনে নাবালিকাকে ক্ষতিপূরণ প্রকল্প অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মামলা দায়েরের পর থেকে ওই নাবালিকা রাজ্য সরকারের হেফাজতে রয়েছে। সে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে এবং অন্যান্য শিশুদের সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অস্মিতা বণিক।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ