ইমফল, ২ জুন (হি.স.) : মণিপুরে গত পাঁচ দিন টানা মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় (নদীর জল উপচে এবং বাঁধ ভেঙে) প্রায় ২০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে ৩,৩৬৫টি বাড়িঘর।
আজ সোমবার রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের জনৈক আধিকারিক জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৯,৮১১ জন মানুষ এবং ৩,৩৬৫টি বসতবাড়ি। তিনি জানিয়েছেন, ইমফল পূর্ব জেলায় ৩১টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ওই শিবিরগুলিতে অধিকাংশ মানুষ বাড়িঘর এবং এলাকা থেকে সরে এসেছেন। সেনাপতি জেলার পাশাপাশি ইমফল পূর্ব জেলার হেইঙ্গাং, ওয়াংখেই এবং খুরাই বিধানসভা কেন্দ্র এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত চার দিনে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৪৭টি ভূমিধস হয়েছে। আধিকারিক জানিয়েছেন, খুরাই, হেইঙ্গাং এবং চেকন এলাকায় নদীর জলস্তর বেড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার পর রাজ্যের রাজধানী ইমফল এবং ইমফল পূর্ব জেলার বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলা আধিকারিক জানিয়েছেন, চেকন এলাকায় ইমফল নদী উপচে পড়ে অল ইন্ডিয়া রেডিও ইমফল কমপ্লেক্স এবং রাষ্ট্রায়ত্ত জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস সহ বেশ কয়েকটি অফিস, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠান জমা জলে আবদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ইফফল পূর্ব জেলার পরমপতে জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন রোগীকে রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জল প্রবেশ করায় অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আধিকারিক বলেন, নীচতলায় অবস্থিত মহিলা অর্থপেডিক এবং সার্জারি ওয়ার্ডে বন্যার জল প্রবেশ করলে স্থানীয় ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবক, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ সদস্যরা রোগীদের স্থানান্তরে সংঘবদ্ধভাবে হাত মিলিয়েছেন। এছাড়া সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলসের কর্মীরা ইমফল পূর্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা থেকে প্রায় ৮০০ জনকে জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার ইমফল পূর্ব জেলার ইরিল নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এখনও বাঁধ ভাঙেনি।
এদিকে রাজভবনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা ইমফল শহরের বেশ কয়েকটি প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মুখ্যসচিব পিকে সিং এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকরিকদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা ইমফলের কাংলা নংপোক থং, লাইরিকিয়েংবাম লাইকাই এবং সিংজামেই সেতু পরিদর্শন করে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস