গণ্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ২০ জুন (হি.স.) : একটি কচ্ছপকে নিয়ে বিরল ঘটনা ধলাই জেলার গণ্ডাছড়ায়। যদিও বর্তমানে বিরল ঘটনার ওই কচ্ছপটি বন কর্মীদের হাত ধরে স্থায়ী ঠিকানা খোঁজে পেল সিপাহীজলার চিড়িয়াখানায়।
ঘটনাটি ঘটে প্রায় দুই বছর পূর্বে। গণ্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের স্বনামধন্য চিকিৎসক চিরঞ্জিত দাস ভগীরথপাড়া থেকে একটি চিকিৎসা শিবির সেরে হাসপাতালে ফেরার সময় হাতিরমাথা বাজারে এসে দেখতে পান একজন জুমিয়া জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন শাক সবজির পাশাপাশি একটি কচ্ছপের ছোট্ট শাবককে পায়ে বেঁধে বিক্রির উদ্দেশ্যে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
দৃশ্যটি চিকিৎসক চিরঞ্জিত দাসের চোখ এড়াতে পারেনি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা ওই জুমিয়ার সঙ্গে কথা বলে ৭০০ টাকায় কচ্ছপ ছানাটিকে ক্রয় করে আবাসনে নিয়ে আসেন। ডাঃ চিরঞ্জিত দাস দেখতে পান কচ্ছপ ছানাটির একটি পায়ে যথেষ্ট ঘা এবং নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ওই কচ্ছপ ছানাটিকে দীর্ঘদিন লাগতর চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলেন চিকিৎসক চিরঞ্জিত দাস। তিনি আদর করে কচ্ছপটির নাম রাখেন 'ফুর্তিলাল'।
গত দুই বছরে চিকিৎসক চিরঞ্জিত দাসের পরিবারের একজন নিয়মিত সদস্য হয়ে গিয়েছিল ওই কচ্ছপটি। দুই বছরে বেশ বড় হয়ে গিয়েছে কচ্ছপটি। শেষে গন্ডাছড়া মহকুমার বন দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কচ্ছপটিকে বন দফতরের আধিকারিক নভেন্দু ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক চিরঞ্জিত দাস।
বন আধিকারিক ওই কচ্ছপটিকে নিয়ে পৌঁছেন সিপাহীজলায়। সিপাহীজলার চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কচ্ছপটিকে তুলে দেন বন আধিকারিক নভেন্দু ভট্টাচার্য সহ বন কর্মীরা। একজন দায়িত্বশীল নাগরিক এবং চিকিৎসক হিসাবে চিরঞ্জিত দাসের এহেন ভূমিকায় খুশি বন কর্মী সহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das