কৈলাসহরের একাধিক ন্যায্যমূল্যের দোকানে অনিয়ম ধরা পড়ল প্রশাসনিক অভিযানে
কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ২০ জুন (হি.স.) : জনগণের ক্রমাগত অভিযোগের পর ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের কালোবাজারির সত্যতা পান। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন যে চাল, ডাল
ত্রিপুরা সরকার


কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ২০ জুন (হি.স.) : জনগণের ক্রমাগত অভিযোগের পর ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের কালোবাজারির সত্যতা পান।

স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন যে চাল, ডাল, চিনি এবং লবণের মত খাদ্যদ্রব্য - যা ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রেশনে সরবরাহ হয় তা পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা বাজারে অবৈধভাবে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

খাদ্য দফতরের আধিকারিক রত্নদীপ দাসের নেতৃত্বে একটি প্রশাসনিক দল মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক পরিদর্শন করেছে। অভিযানে একাধিক ন্যায্যমূল্যের দোকানে মজুতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

জানা গিয়েছে, কৈলাসহর শহরের ৪ নম্বর ন্যায্যমূল্যের দোকানে ৩,৮৩০ কেজি চাল এবং ১৭৭ কেজি চিনি উধাও। ৭ নম্বর ন্যায্যমূল্যের দোকানে ৬৪ কেজি চাল এবং ১৭৭ কেজি চিনি উধাও। ১৩ নম্বর ন্যায্যমূল্যের দোকানে ৩,০৭১ কেজি চাল, ৩৯ কেজি ডাল এবং ৭১৫ কেজি চিনি উধাও। নূরপুর, শ্রীনাথপুরে অবস্থিত ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলিতেও অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

খাদ্য দফতরের কর্মকর্তা রত্নদীপ দাস জোর দিয়ে বলেন, অনেক ন্যায্যমূল্যের দোকান মালিক মুনাফার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য খোলা বাজারে সরিয়ে নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছেন। তবে কিছু দোকান স্বচ্ছভাবে এবং দফতরের নিয়ম মেনে কাজ করছে বলে দেখা গেছে।

দফতর অনিয়মের জন্য দোষী সাব্যস্ত সকল রেশন দোকান মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে এবং জরিমানা আরোপ করেছে। অনেকেই ভবিষ্যতে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্ড জমা দিয়েছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande